মার্সেলো ২০০৭ সালে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সেখানে তাঁর সতীর্থ হন দুই বছর পর। তারপর দুজনের গল্পটা শুধু সতীর্থ হিসেবে ডালপালা মেলেনি। তাঁরা দুজন একে অপরের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অকৃত্রিম বন্ধুত্ব। দুই কিংবদন্তির রিয়াল অধ্যায় শেষ হয়েছে বেশ আগেই। কিন্তু বন্ধুত্ব টিকে আছে আজও। গতকাল মার্সেলো ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর তাঁকে বিদায়ী শুভেচ্ছা বার্তায় সেই বন্ধুত্বেরই ছাপ রাখলেন রোনালদো।

আরও পড়ুনমার্সেলো জানালেন, গল্পটা এখানেই শেষ১৭ ঘণ্টা আগে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ মার্সেলোকে ‘জীবনের সহচর’ বা ‘জীবনসঙ্গী’ হিসেবে উল্লেখ করেন রোনালদো। শুধু তা–ই নয়, ‘ভাই’ বলেও ডেকেছেন। সেটার কারণও আছে। রিয়ালের সোনালি দিনগুলোতে আক্রমণভাগে রোনালদোকে বাঁ প্রান্ত থেকে পাসের অন্যতম জোগানদাতা ছিলেন মার্সেলো। ব্রাজিলের সাবেক এই লেফটব্যাকের সঙ্গে রিয়ালে রোনালদোর গোল উদ্‌যাপনও আলোচনার জন্ম দিয়েছে মাঝেমধ্যে। বিশেষ কেউ গোল করার পর দুজনের নাচ ঠাঁই করে নিয়েছে রিয়াল সমর্থকদের মনের মণিকোঠায়।

রোনালদোর পরিবারের সঙ্গে মার্সেলোর পরিবারের সম্পর্কও চমৎকার। পর্তুগিজ কিংবদন্তি ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পরের বছর মার্সেলোর স্ত্রী ক্ল্যারিস আলভেস বলেছিলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রিয়াল ছেড়ে চলে যাওয়ায় আমাদের জন্য খারাপ হয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তার মা এবং জর্জিনার (রোনালদোর প্রেমিকা) সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। সে (জর্জিনা) দুর্দান্ত। আমার ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলে জুনিয়রেরও খুব ভালো বন্ধু। মাদ্রিদ থেকে তার প্রস্থানে আমরা শূন্যতা অনুভব করি।’

মার্সেলো ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণার পর গতকাল তাঁকে বিদায়ী বার্তায় রোনালদোর ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয় এই কথাগুলো, ‘আমার ভাই, কী অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ার! আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি, বছরের পর বছর অর্জন করেছি, জিতেছি এবং অবিস্মরণীয় সব মুহূর্ত আছে। তুমি সতীর্থের চেয়েও বেশি কিছু, আমার জীবনের সঙ্গী। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ বন্ধু। জীবনের নতুন মঞ্চে তোমার সব রকম ভালো কামনা করছি।’

আরও পড়ুনসব রহস্য লুকিয়ে রোনালদোর শরীরে৬ ঘণ্টা আগে

রোনালদো রিয়াল ছাড়ার চার বছর পর মাদ্রিদের ক্লাবটি ছাড়েন মার্সেলো। তার আগে দুজনে একসঙ্গে ক্লাবটিতে ৯ মৌসুম কাটিয়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, দুটি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে এবং দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপ। ট্রান্সফার মার্কেটের হিসাব অনুযায়ী, রিয়ালে রোনালদোর সঙ্গে ৩৩২ ম্যাচ খেলেছেন মার্সেলো।

রিয়ালে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে রোনালদো ও মার্সেলোর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ধ ত ব জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

জিৎ বনাম প্রসেনজিৎ, প্রথমবার ওয়েব সিরিজে এসে চমকে দিলেন

একসঙ্গে প্রসেনজিত আর জিৎকে ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে এমন কথা বছরখানেক আগে কেউ কল্পনাও করেনি হয়তো। সেটাই এখন হচ্ছে।  তবে বাংলা নয়, হিন্দি একটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার টিজার। আর তা নিয়েই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দর্শকদের মাঝে। 


নীরজ পাণ্ডে পরিচালিত এই সিরিজটির নাম ‘খাকি: দ‌্য বেঙ্গল চ‌্যাপ্টার’। যার কাস্টিং নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা ছিল তুঙ্গে। প্রসেনজিৎ-জিৎ ছাড়াও পরমব্রত চ্যাটার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জিদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়াটা দর্শকদের জন্য এক বিরাট ‘ট্রিট’ হতে চলেছে। মঙ্গলবার সিরিজের টিজার প্রকাশ পেতেই বোঝা গেল কতটা জমজমাট হতে চলেছে ‘খাকি: দ‌্য বেঙ্গল চ‌্যাপ্টার’।

হিন্দি এই ওয়েব সিরিজে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় জিৎ। অন্যদিকে রাজনীতিবিদের চরিত্রে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি। পুলিশের ভূমিকায় আছেন পরমব্রতও। শাশ্বতকে দেখা গেল সাদা পাঞ্জাবিতে। তার ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসি। অন্য দৃশ্যে তিনি নিজেই কপালে ঠেকাচ্ছেন পিস্তল।

টিজার জুড়ে একটা উত্তেজনার আবহ দেখা গেছে। শুরুতেই বন্দুক, কার্তুজের ঝলক। পুলিশ, রাজনীতি ও খুনের কোলাজে জমজমাট দৃশ্যগুলি নিঃসন্দেহে কৌতূহলোদ্দীপক।

২০২২ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘খাকি: দ্য বিহার চ্যাপ্টার’। করণ ট্যাকার, অবিনাশ তিওয়ারি, অভিমন্যু সিংয়ের মতো অভিনেতারা ছিলেন সেখানে। এরপর থেকেই নাকি ‘খাকি: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর প্রস্তুতি শুরু করে দেন নীরজ। অবশেষে মুক্তি পেল টিজার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সিরিয়াস গার্লফ্রেন্ড’ পলাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিল গেটস
  • সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ করেছিলেন বিল গেটস
  • রুমমেটের সঙ্গে সম্পর্ক
  • প্রসেনজিৎ বনাম জিৎ, প্রথম এসেই চমকে দিলেন
  • জিৎ বনাম প্রসেনজিৎ, প্রথমবার ওয়েব সিরিজে এসে চমকে দিলেন