সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই ঊর্দ্ধমূখীতার দেখা মিলেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানীর শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সাথে বেড়েছে বাজার মূলধন।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৬৫ টি প্রতিষ্ঠানের। দর কমেছে ১০৩ টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৭ টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বাড়ায় বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে  ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচক ডিএসইক্স গত সপ্তাহের চেয়ে ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৭৯ তে। ডিএস৩০ সূচকে ৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৯১২ পয়েন্ট। আর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪৭ পয়েন্ট।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে বড় ভূমিকা রাখে বিচ হ্যাচারী। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকার। যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গ্রমীনফোনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। আরেক প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংকের গড় লেনদেনর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব জ র ম লধন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জনে ঘুরে দাঁড়ালো সূচক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২৭ এপ্রিল) সূচকের উত্থান হলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। টানা নয় কার্যদিবস পর ডিএসইতে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিকে সিএসইতে টানা ১০ কার্যদিবস সূচকের পতন হলো।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বড় পতন অব্যাহত ছিল। তবে হঠাৎ করে বাজারে গুঞ্জন উঠে- পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পদত্যাগ করতে সরকারের একটি মহল চাপ দিচ্ছে। এ কারণে তিনি বিএসইসি থেকে বেরিয়েও গেছেন। এমন খবরে ডিএসইর পতনমুখী সূচক হঠাৎ উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় ফিরে এসেছে।

আরো পড়ুন:

নেগেটিভ ইক্যুইটির প্রভিশনের সময়সীমা বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

কারণ ছাড়াই বাড়ছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর

ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২২.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৯৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৩৫টি কোম্পানির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৫.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬.৬৪ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১১.৪৪ পয়েন্ট কমে ৮৯২ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৫৫.৯৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৭১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮২টি কোম্পানির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।

সিএসইতে ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারের হাল ধরেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। ওই দিন ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫৭৭৫.৪৯ পয়েন্টে। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং, বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৮০২.৯০ পয়েন্ট কমেছে।

ঢাকা/এনটি/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার মাস পর লেনদেন ৩শ কোটির নিচে
  • পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
  • বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুঞ্জনে ঘুরে দাঁড়ালো সূচক