ডিবি কার্যালয়ে শাওন-সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
Published: 7th, February 2025 GMT
অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর কিছু সময় পর আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করার খবর পাওয়া যায়।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাওন ও সাবা ডিবি কার্যালয়ে আছেন। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “তারা এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। কোন মামলায় বা কী কারণে তাদেরকে আটক করা হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন।”
ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শাওন ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হতে ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তার মা তহুরা আলী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শাওন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী।
অপরদিকে, সোহানা সাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, গত বছর জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনিসহ শিল্পীদের একাংশ হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সংশ্লিষ্ট বার্তার কিছু স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সোহানা সাবা।
ঢাকা/মাকসুদ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে আদালতে শুনানি, চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের গতকাল রোববার দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায়, গতকাল গভীর রাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেছেন আদালত।
মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুরকে ৭ দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে প্রায় দিনভর মাগুরা শহরে শিশু ধর্ষণে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ভায়না মোড় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। সন্ধ্যার পরে শহরে আবার মশাল মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে, আসামিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তাঁদের আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল রাত ১২টার পর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সব আসামিদের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তাঁরা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানান হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি, ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তকে ৭ দিন এবং অন্য তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
আরও পড়ুননিরাপত্তা শঙ্কায় আদালতে নেওয়া যায়নি আসামিদের, রিমান্ড শুনানিও হয়নি১৩ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্ত সংস্লিষ্ট এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও গতকাল দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদলতের ফটক ঘিরে রেখেছিলেন। আসামিদের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করছিলেন। এ কারণে রাতে শুনানি করেছেন আদালত।’
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’১৫ ঘণ্টা আগেমাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনমাগুরায় আদালতের ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ১৬ ঘণ্টা আগে