কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৯৩৪ নম্বর পিলারে সাব পিলার ৯–এর পাশে বাংলাদেশের ৩০০ গজ ভেতরে খালিশাকোঠাল সীমান্তে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবকের নাম নয়ন মিয়া (২৫)। তিনি ঢাকার হাতিরঝিল থানার এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। আটকের পর গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিজিবির নায়েক আলমগীর হোসেন তাঁকে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নয়নের বিরুদ্ধে থানায় একটি অনুপ্রবেশের মামলা করেছে বিজিবি। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিজিবি ও থানা সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন বালারহাট ক্যাম্পের টহলরত নায়েক সুবেদার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা গতকাল বিকেলে নয়নকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। নয়নের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, তিন বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন তিনি। শেষে কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার করলা সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তিনি ধরা পড়েন।

ফুলবাড়ী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, অনুপ্রবেশ আইনে বিজিবির করা মামলায় নয়নকে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারী নির্যাতনসহ ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল

নারী-নির্যাতনসহ ‘সার্বিক নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার।’

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি ও হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।

ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশে নারী নির্যাতন বেড়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া দরকার’ : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া দরকার’ : নিলয় আলমগীর
  • ‘ধর্ষকের একটাই শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া দরকার : নিলয় আলমগীর
  • নারী নির্যাতনসহ ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল