ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সেই গডফাদার কোথায়, নারায়ণগঞ্জে জামায়াত আমির

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কোথায়? যিনি আমাদের একজন আমিরকে বলেছিলেন তার প্রবেশ নিষেধ। সাইনবোর্ডও টানিয়ে রেখেছিলেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে গেলেও তারা দেশকে ‘অস্থির’ করতে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ এইসব সহ্য করবে না। উস্কানির কারণে যে পরিবশে সৃষ্টি হবে তার দায় নিতে হবে উস্কানিদাতাদের।

আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ সমাবেশ আয়োজন করে।

হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনসভা শুরু হয় সকাল ৯টায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান অতিথি বক্তব্য শুরু করেন। 

এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদারখ্যাত একজন দুর্ধর্ষ লোক জামায়াতের প্রয়াত আমির অধ্যাপক গোলাম আযমকে প্রকাশ্যে খুন করতে চেয়েছিলেন। সেই গডফাদার একটি সভায় ডিসি-এসপিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমার নামে অগ্রিম মামলা করে রাখেন। আমি অধ্যাপক গোলাম আযমকে হত্যা করতে চাই।’ অধ্যাপক গোলাম আযম অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু গডফাদারের সুযোগ হয়নি খুন করার। ওই লোক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

তিনি বলেন, অহংকার ভালো জিনিস নয়। দম্ভ, অহংকার, ক্ষমতার জোরে ছড়ি ঘোরানো, মানুষকে খুন, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিতে নাই। এই কাজগুলো যারা করেন, তারা দুনিয়াতেই করুণ পরিণতির একটি অংশ ভোগ করেন এবং আখিরাতেও বিচারের দিন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শূলে চড়াবেন। সুতরাং দাম্ভিকতা অহংকার পরিহার করুন। তওবা করুন, আগে মানুষ হন, তারপর মুমিন হন।

আওয়ামী লীগ ‘সুকৌশলে’ ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করে রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘অস্থিরতা’ তৈরির পেছনেও আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ডা. শফিকুর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ