Risingbd:
2025-04-10@12:41:42 GMT

বেড়েছে বিপিএলের প্রাইজমানি 

Published: 7th, February 2025 GMT

বেড়েছে বিপিএলের প্রাইজমানি 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের ফাইনাল সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দারুণ খবর দিল। এবারের বিপিএলে প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে। গত দুই মৌসুমে বিপিএলের ফাইনালিস্টরা ২ কোটি টাকা করে প্রাইজমানি পেয়েছিল।অন্যদিকে রানার্সআপ পেয়েছিল ১ কোটি টাকা। এবার দুই পক্ষই ৫০ লক্ষ টাকা করে বেশি পাবে।

এছাড়াও, দলগত ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুরস্কারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয় বিসিবি।

অন্যদিকে আসরটির ইতিহাসে এবারই প্রথম তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারী দলও অর্থ পুরস্কার পাবে। পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ও সেরা ফিল্ডারের জন্যও থাকছে অর্থ পুরস্কার। দলগত এবং ব্যক্তিগত মিলিয়ে মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

অবশেষে বিতর্কের বিপিএলের পর্দা নামছে 

‘স্ট্রেচার’ থেকে নেমে আলিসের ‘চার’, শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালে চিটাগং

প্রাইজমানির বিবরণ
চ্যাম্পিয়ন দল: ২.

৫ কোটি টাকা। 
রানার্সআপ দল: ১.৫ কোটি টাকা।
তৃতীয় স্থান (খুলনা টাইগার্স): ৬০ লাখ টাকা।
চতুর্থ স্থান (রংপুর রাইডার্স): ৪০ লাখ টাকা।
টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়: ১০ লাখ টাকা।
ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়: ৫ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক: ৫ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি: ৫ লাখ টাকা।
সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: ৩ লাখ টাকা।
সেরা ফিল্ডার: ৩ লাখ টাকা।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবসাবান্ধব করতে এনবিআরকে অটোমেশন করা হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের প্রাক্কালে চট্টগ্রামে আয়োজিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব করতে এনবিআরকে অটোমেশন করা হচ্ছে। এবারের বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব বাজেটকে জনবান্ধব করতে ব্যবসায়ীসহ সকলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। যার প্রতিফলন পাওয়া যাবে বাজেটে। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাং চেম্বারের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আগামী বাজেটে ঘাটতি থাকবে কিন্তু যাতে মূল্যস্ফীতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। আর রাজস্ব আদায়ে যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হবে করহারও।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘গত অর্থবছরে ৪৫ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। যার মধ্যে ৩০ লাখ করদাতা শূন্য রিটার্নধারী। বাকি ১৫ লাখ কারদাতা থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এত কম সংখ্যক লোকের থেকে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। এনবিআর জরিপ করে যারা রিটার্ন দিচ্ছে না তাদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও খুবই কম। তাই করহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে দেশের পোশাকখাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। এ ছাড়া, ব্যবসায়ীরা যাতে এনবিআর অফিসে ঘুরতে না হয় সেজন্য সবকিছু অটোমেশন করা হচ্ছে। এখন সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে এক লাখ ৬০ হাজার সার্টিফিকেট অনলাইনে প্রদান করা হয়েছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘ভ্যাট এবং বন্ড সুবিধা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা বন্ড সুবিধা অটোমেশনের আওতায় আনতে কাজ করছি। এ ছাড়া, আয়করের মতো ভ্যাটও যেন ঘরে বসে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’ 

তিনি আগামী বাজেটে ভ্যাট হার যৌক্তিকীকরণ এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ট্যাক্স রেট কমানো, ট্যাক্সনেট বৃদ্ধি ও রিফান্ড ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।

সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, উইমেন চেম্বারের সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চিটাগাং চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ও সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, প্রাক্তন সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ, চেম্বার পরিচালক ও বিজিএমইএ এর ১ম সহ- সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাসানুজ্জামান চৌধুরী (জোসেফ) ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পান রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা), রাঙ্গামাটি চেম্বার সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামুন, চট্টগ্রাম ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিট্যাবলস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রানা, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসেস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশনের মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএসআরএম জিএম শেখর রঞ্জন কর ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/রেজাউল/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ