ডিসি কার্যালয়ের সামনে নেচে গেয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর
Published: 7th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলায় নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের সকল ম্যুরাল অপসারণ না করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিমতলায় থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার প্রাক্কালে তিনি এই হুমকি দেন।
সাকিব হোসাইন বলেন, “এখনো হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালসহ বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে। এসব মুর্যাল ও চিহ্ন অচিরেই ভেঙে ফেলতে হবে। এদেশের মাঠিতে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন থাকতে পারবে না। এখনও যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনতে চায়-তাদের পরিণতি ভাল হবে না। আমরা তাদের সুযোগ দিচ্ছি- তারা সংশোধন হয়ে যাক, তা না হলে তাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার মতো হবে। কোথাও পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।”
পরে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে নেচে গেয়ে মুর্যালটি ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনকারীরা শুরুতে মুর্যালের নামফলক ভেঙে দেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে ২০২১ সালে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ মুজিবের ম্যুরালটি ভেঙে দেওয়া হয়। সেখানে অর্ধশতাধিক ছাত্র উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে নিখোঁজের পরদিন ভুট্টাখেত থেকে ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরের শিবচরে মিজান কাজী (২০) নামের এক ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিকপুরে একটি ইটভাটার–সংলগ্ন ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মিজান উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন মিজান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে আজ সকালে ভুট্টাখেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
মিজানের মা মলিনা বেগম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর যাত্রী নিয়ে মিজানের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। রাত আটটার পরই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে ছেলের লাশ পাওয়ার খবর শুনেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত ব্যক্তির গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই উপজেলার পাঁচ্চর–সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে ২৮ জানুয়ারি আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।