কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
Published: 7th, February 2025 GMT
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মাসুমকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশে তাকে মারধর করা হয়।
অভিযোগ আছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২৯ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত মাহমুদুর রহমান মাসুম। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মাহমুদুর রহমান মাসুম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার প্রথম আহ্বায়ক।
ঢাকা/রুবেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসায় ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরের টঙ্গীতে মালিহা আক্তার (৬) ও মো. আবদুল্লাহ (৪) নামের দুই ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টঙ্গীর আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে এই দুই শিশুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মালিহা আক্তার ও মো. আবদুল্লাহর বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন বাতেন মিয়া।
পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটটির মেঝেতে পাশাপাশি দুই শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল। গলা, বুক, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরের পর বাতেন মিয়া বাসা থেকে স্থানীয় একটি মার্কেটে যান বলে জানিয়েছেন।বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মুঠোফোনে খবর পান তাঁর ছেলে ও মেয়েকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। অন্যদিকে তাদের মা সাহেলা বেগম বলছেন, তিনি দুপুরের পর নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ছেলে ও মেয়েকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ওসি আরও জানান, নিহত শিশুদের মা–বাবার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা রয়েছে, যে কারণে তাঁদের দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।