প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়েও খুশি নন লিভারপুল অধিনায়ক
Published: 7th, February 2025 GMT
কারাবাও কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টটেনহ্যামকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ অ্যাগ্রিগেটে প্রতিপক্ষকে হারালেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন অধিনায়ক ফন ডাইক।
অ্যানফিল্ডে দাপুটে জয়ে লিভারপুলের হয়ে গোল করেন কোডি গ্যাকপো, মোহাম্মদ সালাহ, ডমিনিক সোবোৎলাই এবং ফন ডাইক। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে অলরেডরা। টটেনহ্যাম এতটাই চাপে ছিল যে, পুরো ম্যাচে একটিও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি!
তবে এমন একতরফা জয়ের পরও দলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফন ডাইক। তিনি বলেন, 'আমাদের আরও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দরকার ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারতাম এবং প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে পারতাম। আমি সেটাই সতীর্থদের বলেছি। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা দলের জন্য দারুণ। এখন আমাদের মনোযোগ এফএ কাপে।'
এই জয়ে লিভারপুলের মৌসুমে চারটি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রইলো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৩ ম্যাচ শেষে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দলটি, যেখানে এক ম্যাচ বেশি খেলে দ্বিতীয়স্থানে থাকা আর্সেনাল পিছিয়ে আছে ৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে সেরা ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
রবিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে প্লাইমাউথ আর্গাইলের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। এরপর ১৬ মার্চ কারাবাও কাপের ফাইনালে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ক্লপের দল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যেখানে মানসিক শান্তি পাব না, সেখানে দেশের জন্য কীভাবে পারফর্ম করব: সুমাইয়া
‘হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি’– মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নারী ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়ার এমন স্ট্যাটাস ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তুলে। সম্প্রতি হুমকি দেওয়াসহ নারী ফুটবলারদের আন্দোলনের বিষয়গুলো নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন মাতসুশিমা সুমাইয়া।
তিনি বলেন, আমার বাবার সঙ্গে ফাইট করে বসুন্ধরা কিংসে ট্রায়াল দিয়েছিলাম। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তুমি এখানে (বাংলাদেশ) খেল না, এখানে খেললে ভালো হবে না। তুমি বিদেশে খেল। বাংলাদেশে তোমাকে কিন্তু খেলতে দেবে না। কিন্তু আমি আমার মায়ের সঙ্গে লুকিয়ে পাসপোর্ট বানাই। কিংসে ট্রায়ালে টেকার পর মালদ্বীপেও লিগ খেলেছি। এখন আমার নামে কত উল্টাপাল্টা লেখা হচ্ছে। পারফরম্যান্স না থাকা সত্ত্বেও আমাকে নাকি টিমে রাখা হয়েছে সাবিনা খাতুনের জন্য। আমার যদি পারফরম্যান্স না থাকত, তাহলে কোচ (পিটার বাটলার) বাদ দেওয়ার তালিকায় আমার নাম রাখতেন।
নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ আপনাদের ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তার পরও নমনীয় হলেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাতসুশিমা সুমাইয়া বলেন, যেখানে আমরা মানসিক শান্তি পাব না, সেখানে আমরা কীভাবে খেলে দেশের জন্য পারফর্ম করব? বারবার কেবল টিকটকের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে। আমি সারাজীবন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করেছি। এখানে আসার পর ঈদটা ক্যাম্পে করতে হয়েছে; কারণ আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আমরা যদি অবসর সময়ে একটা ভিডিও বানাই, তাতে সমস্যা কী? ঠোঁটে লিপবাম দেওয়া নিয়েও তাঁর (বাটলার) আপত্তি। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লিপবাম দেব না? ভুটানের সঙ্গে ম্যাচের আগে আমি নিজে শুনেছি সানজিদা-সাগরিকাকে কোচ বলেছেন– তোমরা কি এখানে মডেলিং করতে এসেছো? আপনি দেখেন, ব্রাজিলের নারী ফুটবলার মার্তা, তিনি লাল লিপস্টিক দিয়ে মাঠে নামেন। আমরা তো লিপবাম দিই। খেলতে খেলতে দৌড়াতে দৌড়াতে ঠোঁট শুকিয়ে যায় আমাদের। আবার মাথায় ব্যান্ড দিলেও আপত্তি।