কারাবাও কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টটেনহ্যামকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ অ্যাগ্রিগেটে প্রতিপক্ষকে হারালেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন অধিনায়ক ফন ডাইক।  

অ্যানফিল্ডে দাপুটে জয়ে লিভারপুলের হয়ে গোল করেন কোডি গ্যাকপো, মোহাম্মদ সালাহ, ডমিনিক সোবোৎলাই এবং ফন ডাইক। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে অলরেডরা। টটেনহ্যাম এতটাই চাপে ছিল যে, পুরো ম্যাচে একটিও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি!  

তবে এমন একতরফা জয়ের পরও দলের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফন ডাইক। তিনি বলেন, 'আমাদের আরও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দরকার ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারতাম এবং প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে পারতাম। আমি সেটাই সতীর্থদের বলেছি। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা দলের জন্য দারুণ। এখন আমাদের মনোযোগ এফএ কাপে।'  

এই জয়ে লিভারপুলের মৌসুমে চারটি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রইলো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২৩ ম্যাচ শেষে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দলটি, যেখানে এক ম্যাচ বেশি খেলে দ্বিতীয়স্থানে থাকা আর্সেনাল পিছিয়ে আছে ৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে সেরা ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে তারা।  

রবিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে প্লাইমাউথ আর্গাইলের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। এরপর ১৬ মার্চ কারাবাও কাপের ফাইনালে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ক্লপের দল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্

দেখতে দেখতে শেষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫। আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের। আজ রোববার (০৮ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্স কেমন।

:: ভারতের রেকর্ড ::

আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: রানার্স-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।

আরো পড়ুন:

ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রোহিতের অবসর নিয়ে ‘আলোচনা নেই’

নিউ জিল্যান্ডের প্রেরণা নাইরোবির স্মৃতি

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: যৌথ চ্যাম্পিয়ন (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে)। ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। সেমিফাইনালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে আসে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়।

:: নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড ::

আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতে নেয় নিউ জিল্যান্ড।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয় নিউ জিল্যান্ড।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। নিউ জিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়।

সারসংক্ষেপ:
ভারত একাধিকবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে পৌঁছেছে এবং ২০১৩ সালে একবার শিরোপা জিতেছে।

নিউ জিল্যান্ডও একাধিকবার নকআউট পর্বে খেলেছে, তবে তারা কখনও ট্রফি জিততে পারেনি। তাদের সেরা ফলাফল ছিল ২০০৬ সালে রানার-আপ হওয়া এবং বিভিন্ন আসরে সেমিফাইনাল খেলা। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। তবে তখন এটার নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি।

ঢাকা/আমিনুল/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালের কি বৃষ্টি বাগড়া দিবে?
  • চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্
  • টি২০তে অধিনায়ক লিটন!
  • হামজার জন্যই কি ছেত্রির ফেরা?