চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টারে আগুন, মালিকের দাবি নাশকতা
Published: 7th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট দারোগাহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত দুইটার দিকে ‘কুটুমবাড়ি কনভেনশন সেন্টার’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কমিউনিটি সেন্টারটির ভেতরে থাকা বেশ কিছু চেয়ার পুড়ে গেছে।
কমিউনিটি সেন্টারটির মালিক রেহান উদ্দিন গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় থাকেন না। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী তাঁর কমিউনিটি সেন্টারটি দখলের চেষ্টা করেন। এ কারণে বেশ কিছুদিন কমিউনিটি সেন্টারটি বন্ধ রাখা হয়। গত জানুয়ারি মাসে সেটি খুলে দেওয়ার পর চার থেকে পাঁচটি অনুষ্ঠান হয়েছে।
রেহান উদ্দিন আরও বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁর কমিউনিটি সেন্টারে নাশকতা চালানো হয়েছে। তিনি জেনেছেন, রাতে দেয়াল টপকে কিছু লোক ভেতরে ঢুকে কমিউনিটি সেন্টারটিতে আগুন লাগিয়েছেন। বাজারের নৈশপ্রহরী আগুন দেখে ব্যবস্থাপককে ফোনে জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল এবং ভবনের সিলিং পুড়ে গেছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মচিন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত হতে পারেনি। এটি তদন্তের পর বলা যাবে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাম পাড়া এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে (৩২) আটক করে এলাকাবাসীর কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ১৬ বছর বয়সী খেয়াং কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন বিকেলে পাড়ার আশপাশে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বিকেলে রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়। কিন্তু সেদিন কিছুটা রাত হলেও আর বাড়িতে ফেরেনি।
এলাকাবাসী আরও জানায়, ওই এলাকায় রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা সংযোগ সড়কে নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নিয়োজিত আছে ১৮-২০ জন শ্রমিক। সন্ধ্যার দিকে পাড়ার পাশে কবরস্থানের কাছাকাছি কিশোরীকে একা পেয়ে শ্রমিক মো. জামাল হোসেন ওই কিশোরীকে টেনে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পরে রাত নামলে কিশোরীর চিৎকার শুনে পাড়াবাসী জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিশোরীর কথায় পাড়াবাসী নিশ্চিত হয় এক নির্মাণ শ্রমিক তাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর রাতভর বেশ কয়েকজন মিলে জঙ্গলের ভেতরে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।
সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন শ্রমিক বলেন, পাড়ার একটি মেয়েকে আমাদের একজন শ্রমিক ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু এ কাজ কে করেছে তা জানতাম না। পরে রাতে দেখি মো. জামাল হোসেন নামে এক শ্রমিক আমাদের সঙ্গে ঘুমাতে আসেনি। ভোরের দিকে কাজের জায়গায় অভিযুক্ত জামাল পৌঁছালে শ্রমিকরা সবাই মিলে তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেয়।
খামতাম পাড়ার কয়েকজন জানান, জামালকে পাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে মারধর করে। এরপর গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুরো পাড়া তাকে ঘুরানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত জামালকে তাদের কাছে সোপর্দ করে।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামালকে পাড়াবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে রোয়াংছড়ি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।