নাটোরের সিংড়ায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে শারমিন বেগম (৩৫) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন মেয়ে যমজ জিম ও মিম (৮) এবং সিনহা খাতুন (৩)। নিহত শারমিন উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বড়গ্রাম রঘুকদমা গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে বুধবার রাতে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন শারমিন খাতুন। পরে তাঁর তিন মেয়েকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট বলে তাদেরও সে সেবন করান। কিছুক্ষণ পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা।

কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে মায়ের মৃত্যু হয়। তিন মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, বগুড়া থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ এলাকায় আনা হয়েছে; দাফনের প্রস্তুতি চলছে। 

নিহত শারমিনের চাচাতো ভাই আল আমিন ও মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, তাদের বোনকে মাঝে মধ্যে নির্যাতন করতেন স্বামী। তাঁকে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করিয়ে মেরেছেন। ভাগনিরা দেখে ফেলায় তাদেরও সেবন করানো হয়। 

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বাবা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, একমাত্র মেয়েকে ১৫ বছর আগে পাশের বড়গ্রামে বিয়ে দেন। ছয় থেকে সাত বছর ধরে তাঁকে বাবার বাড়ি আসতে দেননি জামাই। মাঝে মধ্যে নির্যাতন করা হয়েছে তারা খবর পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করেও গৃহবধূ শারমিনের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে নিখোঁজের পরদিন ভুট্টাখেত থেকে ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

মাদারীপুরের শিবচরে মিজান কাজী (২০) নামের এক ভ্যানচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিকপুরে একটি ইটভাটার–সংলগ্ন ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

মিজান উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন মিজান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরে আজ সকালে ভুট্টাখেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মিজানের মা মলিনা বেগম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর যাত্রী নিয়ে মিজানের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। রাত আটটার পরই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে ছেলের লাশ পাওয়ার খবর শুনেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত ব্যক্তির গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই উপজেলার পাঁচ্চর–সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে ২৮ জানুয়ারি আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ