গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে মায়ের মৃত্যু, তিন মেয়ে অসুস্থ
Published: 7th, February 2025 GMT
নাটোরের সিংড়ায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে শারমিন বেগম (৩৫) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন মেয়ে যমজ জিম ও মিম (৮) এবং সিনহা খাতুন (৩)। নিহত শারমিন উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বড়গ্রাম রঘুকদমা গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে বুধবার রাতে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন শারমিন খাতুন। পরে তাঁর তিন মেয়েকে ঘুম থেকে জাগিয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট বলে তাদেরও সে সেবন করান। কিছুক্ষণ পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে মায়ের মৃত্যু হয়। তিন মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, বগুড়া থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ এলাকায় আনা হয়েছে; দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত শারমিনের চাচাতো ভাই আল আমিন ও মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, তাদের বোনকে মাঝে মধ্যে নির্যাতন করতেন স্বামী। তাঁকে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করিয়ে মেরেছেন। ভাগনিরা দেখে ফেলায় তাদেরও সেবন করানো হয়।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বাবা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, একমাত্র মেয়েকে ১৫ বছর আগে পাশের বড়গ্রামে বিয়ে দেন। ছয় থেকে সাত বছর ধরে তাঁকে বাবার বাড়ি আসতে দেননি জামাই। মাঝে মধ্যে নির্যাতন করা হয়েছে তারা খবর পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করেও গৃহবধূ শারমিনের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিলের ফি কমানোর দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্য এবং চির উন্নত মম শির এর সামনে এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় পরীক্ষার ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘অধিকার নিয়ে বাণিজ্য,চলবে না’, ‘জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার চাই’, ‘বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি কমাতে হবে’, ‘বৈষম্যমুক্ত বার কাউন্সিল চাই’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইন্টিমেশন দেওয়ার পর প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা দিতে হয়। এরপর আবার পরীক্ষায় বসার জন্য ৪ হাজার ২০ টাকা দিতে হয়। বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ফি কমানো হয়েছে। আমাদের দোষটা কী? আমাদের দাবি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করুন। আমরা এই যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ব শাহনূর বলেন, “রাষ্ট্র যন্ত্রের এতগুলো সংস্কার চলছে. এমন সময়ে সবার চোখের সামনে এ রকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। দ্রুত ফি কমাতে হবে। আর জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং ক্ষমতায়নের জন্যই জরুরি।”
আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা সাবা বলেন, “বার কাউন্সিলের ফি কমানো আর জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার পদ যৌক্তিক দাবি। এগুলো নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত মানতে হবে। এটা আমাদের অধিকার।
সম্প্রতি বার কাউন্সিল পূর্বের মত বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে।
ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী