পৌরসভার প্রাচীর ঘেঁষে ভাগাড়, দুর্গন্ধে দুর্ভোগ
Published: 7th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রাচীর ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে স্থানটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে মশা-মাছির উপদ্রব ও দুর্গন্ধে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাগাড়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরে জনভোগান্তি সৃষ্টি হলেও এটি অপসারণে উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা গেছে, পৌরসভার প্রাচীরসংলগ্ন সরু সড়কের ড্রেনের পাশেই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। প্রতিদিন সকালে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লার ভ্যান নিয়ে এসে বর্জ্য ফেলছেন। তাদের দেখাদেখি কিছু বাসাবাড়ির বর্জ্যও এখানে ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক যুগ ধরে এখানে বর্জ্য ফেলা হলেও এখান থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করেন না পৌরকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া জানান, আবর্জনার দুর্গন্ধে এই পথ দিয়ে যাওয়া-আসা দুষ্কর। এলাকাবাসী ও পথচারীর নাকে-মুখে রুমাল চেপে চলাচল করতে হয়।
শিবেন অধিকারী বলেন, দুর্গন্ধে বাড়িতেও বসবাস করা কষ্টকর। পৌর কর্তৃপক্ষ কোন বিবেচনায় একটি আবাসিক এলাকায় ময়লা ফেলছে, তা তাঁর বুঝে আসে না। দ্রুত ভাগাড় অপসারণের দাবি করেন ।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁর বাসার সামনেই আবর্জনার স্তূপ। ড্রেনের পচা পানির গন্ধ আর মশা-মাছির যন্ত্রণায় বাড়িতে থাকাও দায়। অনেক সময় সেখানে আসা কুকুরগুলো পথচারী ও পোষা প্রাণীদের তাড়া করে। অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবেশবাদী সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবী শিবুপদ বিশ্বাস বলেন, এটি শুধু একটা এলাকায় হচ্ছে এমনটা নয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে ও মহল্লায় এই চিত্র চোখে পড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে না। বিষয়টি তিনি উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও তুলেছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ওখানে শুধু পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তা নয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও ড্রেনের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে থাকেন। এ বিষয়ে পৌরসভার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি। শিগগিরই সেখানকার ময়লা-আবর্জনা এবং ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নেবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে ভূমি অফিসে বিশেষ সেবা বুথ চালু
বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভূমি অফিসে মাসব্যাপী বিশেষ সেবা বুথ চালু হয়েছে। রোববার উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বিশেষ সেবা বুথের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
পরিদর্শনকালে ভূমি সেবা নিতে আসা বিভিন্ন সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ ভূমিসেবা বুথের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় এবং ভূমিবিষয়ক যে কোনো সমস্যার সমাধান প্রদান করা যাবে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান, ভূমি-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। তিনি ভূমিসেবা পেতে দালাল বাদ দিয়ে প্রত্যেক সেবাপ্রত্যাশীকে সরাসরি আবেদন করার আহ্বান জানান।