নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়,  জেলা কমিটির সভাপ‌তি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী।

বিকেলে ছাত্র-জনতাসহ একদল লোক শহরের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে যায় এবং ভেকু দিয়ে কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপ‌তি ও সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাসার দি‌কে যায়। এ সময় বাসাটিতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এছাড়া নওগাঁ ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জন ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের বাসায় রাত ৯টা পর্যন্ত ভাঙচুর চালানো হয়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নওগাঁর ছাত্র প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ছাত্র-জনতা এভাবেই রুখে দেবে।”

রাতে ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “ওই চারটি স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছাড়া অন্য কোথাও কিছু হয়েছে কিনা জানা নেই।”

ঢাকা/সাজু/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি জনাব শাহেদ নূরউদ্দিন কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৬(৮) অনুচ্ছেদমতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখযুক্ত স্বাক্ষরে দাখিলকৃত পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে ভূতাপেক্ষভাবে গ্রহণ করেছেন।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হওয়ার অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান।

সেদিন সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

ওই ১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ