অডিওবুক সম্প্রসারণে কাজ করছে ‘কাহিনীক’
Published: 7th, February 2025 GMT
অডিওবুকের ধারণা আমাদের দেশে কিছুটা নতুন হলেও সারাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে বেশ পুরনো। এটি এমন একটি মাধ্যম যেখানে বই পড়ে শোনানো হয়। বাংলা সাহিত্যকে ‘অডিও’ আকারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালির কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে কাহিনীক অডিওবুক। এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। কাহিনীক একটি ইন-অ্যাপ অডিও।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী কম্পিউটার বিজ্ঞানী ইফতেখার আলম ইভান এই অডিওবুক অ্যাপের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী মামুন আকবর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম.
রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগের ১৩ নাম্বার রোডের ডরিন টাওয়ারের ৫ম তলায় অবস্থিত তাদের অফিস। এখানে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন সর্বমোট ১১ জন।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় নতুন উপন্যাস ‘তিতাসের বুনো হাঁস’
বইমেলার তৃতীয় দিনে ৩২ নতুন বই প্রকাশিত
কাহিনীকের ভাবনা ও স্বপ্ন নিয়ে রাইজিংবিডির সাথে কথা বলেছেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিউরেটর ইফতেখার ইভান। তিনি বলেন, ‘‘ আমরা ১০০ বইয়ের অডিও ভার্সন নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছি। আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়া। বই সারা বিশ্বে ছড়ানো কঠিন কাজ কিন্তু আমাদের অ্যাপ হাতে নিলেই সব বই পেয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষের এটা বুঝতে বা গ্রহণ করতে আরো সময় লাগবে। আমরা চেয়েছি ভাষা ও সাহিত্যকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে। ইবুক একটা মাধ্যম, অডিওবুক একটা মাধ্যম। অডিওবুক নতুন শিল্প। অডিওবুক সারাবিশ্বে জনপ্রিয় জায়গা করে নিয়েছে। ই-বুক এবং অডিওবুকের সেল প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে।’’
‘‘বাংলাদেশ থেকে অ্যাপটাকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা আমাদের আছে। কিন্তু অনেক কারিগরি বাধা রয়েছে। যেমন এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো কয়েক মাস পর পরই আইন পাল্টায়। অ্যাপল মাঝে মধ্যেই আইন পাল্টায়, অ্যান্ড্রয়েডও তাই। আবার আমাদের দেশে ফরেন কারেন্সি আনা নেওয়ার ব্যাপারে অনেক বাধা রয়েছে। ফলে বিদেশে অবস্থানরত সেই দেশের বাঙালিরা কীভাবে অ্যাপসটি পাবেন সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়েছে।’’— যোগ করেন ইফতেখার ইভান।
প্রথমে অডিও পরে প্রিন্ট ভার্সনে বই প্রকাশ করার উপায় আছে কি? – প্রশ্নের উত্তরে ইফতেখার বলেন, ‘‘আমরা তো মূলত অডিও প্রকাশক। আমরা প্রকাশকদের সঙ্গে চুক্তি করে বই অডিওবুক প্রকাশ করছি। আমাদের একটা বড় স্বপ্ন প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা এবং প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে থাকা। আপনি দেখবেন যে আমাদের এখানে হুমায়ূন আহমেদের বই নেই, কারণ আমরা এখনও হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের কাছ থেকে স্বত্ব নেইনি। আমারা সমরেশ মজুমদারের সঙ্গে কন্টাক্ট রয়েছে, এগারোটা বই পেয়েছি। কেউ যদি মানসম্মত লেখা আনে। সেটা চাইলে প্রিন্ট ভার্সন প্রকাশ করার আগেও অডিও ভার্সনে আসতে পারে। পরে বই হয়ে বের হলেও সমস্যা নেই।’’
কাহিনীক অডিওবুক শোনার জন্য প্লে স্টোর বা অ্যাপেল স্টোর থেকে কাহিনীকের অ্যাপ নামাতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অ্যাপ এ যাওয়ার পর কিছু বই আপনি ফ্রিতে শুনতে পারবেন। মাসিক, ষান্মাসিক ও বাৎসরিক চুক্তিতে বই শুনতে পারবেন এই কাহিনীক অডিওবুকে। সামনে আসছে কাহিনীক ভিডিওবুক বা পডকাস্ট। এই মডেলে ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি’ নামের একটি অপশন রয়েছে—এখানে একজন সাবস্ক্রাইবার তিনজন ফ্যামেলি মেম্বারকে অ্যাড করতে পারবেন। যার মাসিক ফি ২২৫ টাকা। ২২৫ টাকায় আপনি একমাসের সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে পারেন। ছয় মাসের ফি ১১২৫ টাকা এবং বার্ষিক ফি ২২৫০ টাকা।
ইফতেখার ইভান অডিওবুকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে জানান। তিনি উল্লেখ করেন মানুষ কাহিনী শুনতে পছন্দ করে। ‘কাহিনীক’ নামটাও আমরা বাছাই করেছি এই ভেবে যে, মানুষ যেন নামটা শুনলেই বুঝতে পারে কেউ গল্প বলছে। তাছাড়া এই নামটা ইংরেজিতে লিখলেও এর কোন উচ্চারণের পার্থক্য নেই। অনেক ভেবেই এ নামটা দেওয়া।
কাহিনীক মনে করে অডিও বুক হলো ছাপা বইয়ের সম্প্রসারিত এক রূপ।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বই ইফত খ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী
কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।
পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারেকুর/এস