কুমিল্লায় পেট্রল বোমায় ৮ যাত্রীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
Published: 7th, February 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা মেরে ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল হালিমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ সমকালকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আবদুল হালিম চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁন্দিশকরা মুন্সি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় যাত্রীবাহী একটি নৈশকোচে পেট্রল বোমা মেরে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বাস মালিক মো.
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজ সমকালকে বলেন, মামলার পর থেকে আবদুল হালিম আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি জনাব শাহেদ নূরউদ্দিন কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৬(৮) অনুচ্ছেদমতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখযুক্ত স্বাক্ষরে দাখিলকৃত পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে ভূতাপেক্ষভাবে গ্রহণ করেছেন।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হওয়ার অভিযোগে ছুটিতে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান।
সেদিন সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
ওই ১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
বিএইচ