বগুড়ায় যুবদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ যুবলীগের পাঁচজন
Published: 7th, February 2025 GMT
বগুড়া জেলা যুবদলের কমিটিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্তত পাঁচজনকে পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদবঞ্চিতরা।
গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি ও সাবেক আরেক সভাপতি আবু হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা যুবদলের ১০১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সংগঠন। এতে সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাউল ইসলাম সুজা, স্বাস্থ্য সম্পাদক মো.
নতুন কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব সেলিম, সহকোষাধ্যক্ষ আল মাহমুদ প্রিন্স ও সহআইন সম্পাদক মাহামুদুল হাসান জিতুকে হাইব্রিড নেতা আখ্যা দিয়েছেন পদবঞ্চিতরা। ফেসবুকে তাদের বিগত দিনে আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে তোলা ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছবিতে সুজাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর সঙ্গে দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায়। ফয়সাল দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহমেদুর রহমান বিপ্লবের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। গোলাম মোস্তফা জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দলীয় নানা কর্মসূচিতে ছিলেন। বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিনেওয়াজ খান রবিনের সঙ্গে ইনসান এবং মাসুদকেও দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদবঞ্চিত কয়েকজন জানান, যুবদলের শীর্ষ নেতারা পদ বাণিজ্য করেছেন। তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের যুবদলে পদ দিয়েছেন।
কমিটিতে স্থান পাওয়া ইনসান জানান, ওষুধ ব্যবসায় জড়িত থাকায় জেলা ড্রাগ সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা রফিনেওয়াজ খান রবিনের সঙ্গে তিনি সমিতির একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। সে ছবিই ভাইরাল করা হয়েছে। আহসান হাবিব সেলিমের দাবি, তিনি হাইব্রিড নন। দীর্ঘদিন ছাত্রদল করার কারণে যুবদলে পদ পেয়েছেন।
যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যে দুয়েকজনের বিষয়ে কথা উঠেছে, তারা যুবদল ও ছাত্রদলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরিবারও বিএনপির রাজনীতি করে। পদ না পেয়ে একটি মহল টাকা নিয়ে কমিটিতে স্থান দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বল গ র য বদল র কম ট ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী এক্সিবিশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনীর।
‘দ্য ল্যানটিং লিগ্যাসি’ প্রতিপাদ্যে সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশে সুন খ্যংনিং ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুন খ্যংনিং বলেন, “আমরা এই বছর প্রথমবারের মতো চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। তাড়াহুড়া করে এই আয়োজন করা হয়েছে, তাই সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারিনি। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী; তবুও আশা করি, দর্শকরা চীনা ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।”
চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চ স্তরে পৌঁছাবে এবং গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, চীনা ক্যালিগ্রাফি তিন হাজার বছরের পুরোনো। তুলি, কালি, কলম ও কাগজ দিয়ে চীনা শিল্পীরা নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চীনা ক্যালিগ্রাফিভক্ত লিউ চেন, কো তাহাই, হু সংসহ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল