গাজায় ৬৬ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার
Published: 7th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা।
এবার গাজা ভূখণ্ডে বালির ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর গাজার ওই বালির ঢিবিটি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তৈরি করেছিল।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্মিত বালির ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করেছে বলে সংস্থাটি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আনাদোলুকে বলেছেন, ইসরায়েলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা শহর এবং উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালির ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা (ইসরায়েলি বাহিনী)।
গাজার এই বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় ঝোড়ো আবহাওয়া গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের কয়েক ডজন তাঁবু উড়িয়ে নিয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি অন্যান্য আরও অনেক তাঁবুকে প্লাবিত করেছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের থাকার জন্য গাজায় জরুরিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার তাঁবুর প্রয়োজন যাদের বাড়ি ইসরায়েলি অভিযানে ধ্বংস হয়ে গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এই সরকার চলে গেলেও যেন মানুষ বলে বাজেট ভালো হয়েছিল: অর্থ উপদেষ্টা
এবারের বাজেট বাস্তবসম্মত হবে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সরকার বাজেট নিয়ে এখন যা বলছে সেভাবেই করা হবে। যাতে এই সরকার চলে গেলেও মানুষ বলে বাজেট ভালো হয়েছিল।’
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৫ তম সভায় তিনি এ কথা বলেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের বাজেট বাস্তবসম্মত করা হবে। চিরাচরিত বাজেটের মতো হবে না। বাজেট নিয়ে এখন যা বলছে সরকার, সেভাবেই করার চেষ্টা থাকবে। যেন এই সরকার চলেও গেলেও যাতে মানুষ বলে বাজেট ভালো হয়েছিল। বিগত সময়ে বড় বাজেট দেওয়া হতো, কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতো না। কিন্তু এই সরকার যে বাজেট দিবে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা থাকবে।’
কর অব্যাহতির দিন চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে। ব্যবসায়ীদেরও প্রতিযোগী হতে হবে। ব্যবসায়ীরা কর দিলে সুবিধা পাবেন। কিন্তু অনেকেই কর অব্যাহতি বা কর রেয়াতি সুবিধা চায়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে অব্যাহতির দিন চলে গেছে। রাজস্ব আয় বাড়ানো নিয়ে এ সরকারের ওপর অনেক চাপ আছে। ব্যবসায়ীরা যে কর দেন তার সুবিধাও তারা ভোগ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে যেসব ব্যবসায়ী আছেন বা যে চেম্বারগুলো রয়েছে অনেক সময় তাদের কথা শোনা হয় না। তবে সরকার তাদের জন্যে কাজ করছে।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারে দায়িত্বে থাকায় এখন অনেক গালমন্দ খেতে হচ্ছে। সরকারের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তবু সরকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার শুধু আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেনি। অন্যান্য সব পক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছে। আইএমএফের সঙ্গে এখনও শর্ত মেলেনি। কঠোর দর কষাকষি হচ্ছে। চেষ্টা চলছে।’
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমনান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আগামী বাজেটের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অংশীজনদেন প্রত্যাশা অনেক।’
তিনি বলেন, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষগুলো বিবেচনা নিয়ে আগামী অর্থ বছরের জন্য বিনিয়োগ ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণীত হবে বলে এফবিসিসিআই বিশ্বাস করে। এছাড়া নীতি সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয় থাকবে বলে এফবিসিসিআই প্রত্যাশা করে।
সভায় ব্যবসায়ীরাদের পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ'র সভাপতি শওকত আজীজ রাসেল, রিহ্যাবের পরিচালক আইয়ুব আলী প্রমুখ।