শিবচরে ভ্যানচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
Published: 7th, February 2025 GMT
মাদারীপুর জেলার শিবচরে মিজান কাজী (২০) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিকপুর মোড় সংলগ্ন একটি ইটের ভাটার পাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিজান উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মিজান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। শুক্রবার সকালে ওই এলাকার ইটের ভাটার পাশে ভুট্টা ক্ষেতে মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।
পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর মিজান নিখোঁজ থাকে। মিজানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের মা মলিনা বেগম বলেন, “আমরা ছেলেটা ভ্যান চালায়। সন্ধ্যার পরে যাত্রী নিয়া কাঁঠালবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আইলো না আমার ছেলে।”
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
এরআগে গত ২৮ জানুয়ারি শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা/বেলাল/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পক্ষাঘাতগ্রস্তদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে নতুন ব্রেন-টু-ভয়েস প্রযুক্তি
পক্ষাঘাতে কথা বলার সক্ষমতা হারানো ব্যক্তিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে ও সান ফ্রান্সিসকোর গবেষকেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় এমন একটি প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যা মস্তিষ্কের সংকেতকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভাষায় রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারবেন।
ন্যাচার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন এই প্রযুক্তি বক্তৃতাসহায়ক নিউরোপ্রস্থেটিকসের জগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। আগে উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তিতে একজন ব্যবহারকারী যা বলতে চান, তা শব্দে রূপান্তরিত হতে গড়ে আট সেকেন্ড পর্যন্ত সময় লাগত। নতুন এ উদ্ভাবন সেই সময় কমিয়ে এনেছে। এর ফলে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
গবেষকেরা জানান, এই প্রযুক্তির কার্যপ্রণালি অনেকটাই স্মার্ট ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সা বা সিরির মতো। এটি দ্রুত ভাষা বিশ্লেষণ করে স্বাভাবিক ভয়েস স্ট্রিমিং নিশ্চিত করতে পারে। এর ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিরা কথোপকথনের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রেখে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান চেওল জুন চো বলেন, নতুন এই নিউরোপ্রস্থেটিকস প্রযুক্তি মস্তিষ্কের মোটর করটেক্স থেকে নিউরাল সংকেত সংগ্রহ করে, যা মানুষের বক্তৃতা নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় সেই সংকেতগুলোকে ভাষায় রূপান্তর করা হয়।
নতুন ব্রেন-টু-ভয়েস প্রযুক্তি এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৭ বছর বয়সী অ্যান নামের এক নারীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি ১৮ বছর ধরে বাক্শক্তিহীন ছিলেন। গবেষকেরা তাঁর মস্তিষ্কে ইলেকট্রোড বসান, যা তাঁর কথা বলার চেষ্টার সময় নিউরাল সংকেত সংগ্রহ করে। এরপর এআই সিস্টেম সেই সংকেতকে শব্দে রূপান্তর করে। আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় প্রযুক্তিটি অ্যানের দুর্ঘটনার আগের কণ্ঠস্বরও পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষকদের ধারণা, নতুন এই উদ্ভাবন স্ট্রোক বা অন্যান্য স্নায়ুরোগের কারণে বাক্শক্তি হারানো ব্যক্তিদের জন্যও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস