কলাপাড়ায় সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরণকে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি, মহিপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান পারভেজ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, যুবদল নেতা হারুন-অর-রশীদ, সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু, এসএসএম মোশারফ হোসেন মিন্টু, মহসিন পারভেজ, অমল মুখার্জী, জাহিদ রিপন, হোসাইন আমির, অ্যাডভোকেট কাওসার হোসেন, রাসেল মোল্লা, নীল রতন কুণ্ডু, সজল বিশ্বাস, রাশেদ মোশাররফ কল্লোল প্রমুখ। 

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার নিজ বাসার সামনে হামলা করে মিরণের হাতের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। তাঁর কবজি, মাথা, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। মিরণের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠকের পর কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত তারা। খবর বিবিসির।

গত মাসে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর সৌদি আরবের জেদ্দায় গতকাল (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই আলোচনা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

বৈঠকে নেতৃত্বের ভূমিকা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বল এখন (রাশিয়ানদের) কোর্টে।’ এখন মস্কোর কাছে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরো পড়ুন:

ঢাকার রাশিয়ান হাউজে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

রাশিয়ায় ব্যাপক ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখন রাশিয়াকে ‌‘ইতিবাচক’ এই প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার বিষয়ে রাজি করানোর দায়িত্ব নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং নিরাপত্তা সহায়তা পুনরায় চালু করবে। সম্প্রতি ইউক্রেনের ওপর সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় প্রতিনিধিদল তাদের আলোচক দলের নাম ঘোষণা করতে এবং ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, রাশিয়ানরা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে তারা যদি এতে রাজি না হয় তবে ‘দুর্ভাগ্যবশত সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা আমরা বুঝতে পারব’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এদিকে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “ইউক্রেন এতে (যুদ্ধবিরতি) রাজি হয়েছে। আশা করি প্রেসিডেন্ট পুতিনও রাজি হবেন।”

ট্রাম্প আরো বলেন, “ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেদিন শেষবার হোয়াইট হাউজে উপস্থিত ছিলেন, সেদিনের তুলনায় বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।”

জেদ্দায় ‘গঠনমূলক’ আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়াকে এবার ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে বা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তার ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে’।”

তিনি আরো বলেন, “পূর্ণ সত্য প্রকাশের সময় এসেছে।” 

মস্কো এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। মঙ্গলবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ব্রিফ করার পর তারা একটি বিবৃতি জারি করবে।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। মস্কো বর্তমানে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের জানান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যেমন বলেছে, ঠিক তেমনই দুটি চুক্তি করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়া চুক্তিতে সম্মত হবে।

“আগামীকাল রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের একটি বড় বৈঠক হবে এবং আশা করা যায় কিছু দুর্দান্ত আলোচনা হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ওয়াশিংটনে ফের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ