Samakal:
2025-04-29@18:57:43 GMT

দুই যুবক ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার

Published: 7th, February 2025 GMT

দুই যুবক ও এক শিশুর লাশ উদ্ধার

খুলনার ডুমুরিয়ায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শ্রীনাথ রায় নামে আড়াই বছর বয়সের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় একটি মৎস্য ঘেরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভাণ্ডারপাড়া ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শ্রীনাথ একই গ্রামের কৃষক প্রভাষ রায়ের ছেলে।

মঙ্গলবার সকালে শিশুটি তার মায়ের পেছনে পেছনে হেঁটে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি মাছের খামারে যায়। এর আধা ঘণ্টা পর শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই মৎস্য ঘেরের পানিতে একটি শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। 

ডুমুরিয়া থানার এস আই নিয়াজ আহম্মেদ বলেন, শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে। শিশুর স্বজনরা থানায় কোনো অভিযোগ দেননি।

পটুয়াখালীর দশমিনায় মো.

মহিউদ্দিন ওরফে ঈসা নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামের তরমুজ ক্ষেতের টংঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মহিউদ্দিন পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের জাফর ফকিরের ছেলে। তিনি মিশুক গাড়ি চালাতেন।

মঙ্গলবার সকালে গাড়ি নিয়ে বের হন ঈসা। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁকে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। বুধবার দশমিনার চাঁদপুরা গ্রামের বাসিন্দা মাহাতাব হোসেন ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে টংঘরের বেড়ায় রক্ত দেখতে পান। কৌতূহলবশত ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন খড়কুটা দিয়ে লাশ ঢেকে রাখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি মহাজনকে জানান। মহাজন ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন।

দশমিনা থানার উপপরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহতের মা সাহিদা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নে জসিম উদ্দিন (১৭) নামে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য চণ্ডিপুর গ্রামের তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে পতিত জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জসিম মধ্য চণ্ডিপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় জসিম বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেনি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিয়ার মৃত্যুতে আরও সংকটে পরিবার, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মা ও বোন

গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে মারা যান স্বামী জসিম উদ্দিন। এরপর গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মারা যান বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার (১৭)।   

স্বামী এবং মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুমা বেগম (৩৫)। একই অবস্থা লামিয়ার ছোট বোন বুশরা আক্তারের (১৪)। লামিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে কাঁদতে কাঁদতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল)  রাতে লামিয়াকে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফনের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে স্বজনরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্বজনরা এ দুজনকে নিয়েও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার গলায় ফাঁস দেওয়া নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

রবিবার মাগরিব নামাজ বাদ পাঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে লামিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ নামাজে অংশ নেন বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ স্থানীয় শতশত মানুষ।

পরিবার জানায়, গত ১৮ মার্চ দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। সাহসিকতার সাথে তিনি নিজে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই লামিয়া গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি হয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পরিবারের ধারণা।

লামিয়ার দাদা শহীদ জসিম উদ্দিনের বাবা আবদুস সোবাহান বলেন, “আমরা এ শোক সইতে পারছিনা। কাঁদতে কাঁদতে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমরা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ছেলের বউ ও ছোট নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।” 

বলেন, “যাদের কারণে লামিয়া আত্মহত্যা করেছে আমরা তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।”

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা আবুজর মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন, “লামিয়ার মা এবং বোন হাসপাতালের ভর্তির বিষয়টি আমাকে অবগত করেনি। তবে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লামিয়ার মৃত্যুতে আরও সংকটে পরিবার, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মা ও বোন