টটেনহ্যামকে উড়িয়ে লিগ কাপের ফাইনালে লিভারপুল
Published: 7th, February 2025 GMT
টটেনহ্যামকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ কাপের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে টটেনহ্যামকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে দলটি। প্রথম লেগে টটেনহ্যামের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধান জিতে কারাবাও কাপের ফাইনালে চলে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে আগামী ১৬ মার্চ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে অলরেডরা।
নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে লিভারপুলকে হারিয়েছিল টটেনহ্যাম। এরপর এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে লিভারপুরের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে আসে তারা। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসে এমন গোহারা হারবে, সেটি ভাবনায়ও হয়তো ছিল না টটেনহ্যামের। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ শুরু করা লিভারপুলের প্রত্যাবর্তনের সূচনা হয় ৩৪ মিনিটে। মোহাম্মদ সালাহর ক্রস থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন কোডি গ্যাকপো।
৫১ মিনিটে লিভারপুল তারকা দারউইন নুনিয়েজকে ফাউল করেন টটেনহ্যামের গোলরক্ষক অ্যান্টোনি কিনস্কি। এতে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। পেনাল্টি থেকে শক্তিশালী শটে স্বাগতিকদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। ৭৫ মিনিটে লিভারপুরের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ডমিনিক সোবোৎলাই। ৮০ মিনিটে হেড থেকে চতুর্থ গোল করে টটেনহ্যামের পরাজয় (৪-০) নিশ্চিত করেন ফন ডাইক।
ম্যাচের পর টটেনহ্যাম তারকা পোস্টেকোগলু আইটিভিকে বলেন, ‘কঠিন রাত। লিভারপুল আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে। আমরা বল নিয়ন্ত্রণ ও খেলার গতি ধরতে পারিনি। আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারিনি। শুরু থেকেই লিভারপুলকে ছন্দে নিয়ে যেতে দিয়েছি। যা অ্যানফিল্ডে বিশেষভাবে বিপজ্জনক।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে প্রবৃদ্ধি কমলেও বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি নেই: আইএমএফ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও এ কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে এক পূর্বাভাসে এ কথা জানায়।
আইএমএফ বলেছে, বাণিজ্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী শেয়ারের দাম কমেছে। দেশগুলোর আস্থায় ফাটল ধরার বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।
আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, আমাদের নতুন প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমুখী হবে। কিন্তু এতে মন্দা দেখা দেবে না।’
গতকাল আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় ‘সব দেশকে অবশ্যই নিজেদের ঘর সামলানোর প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে’।
ইউরোপের উদ্দেশে জর্জিয়েভা বলেন, ‘পরিষেবার বেলায় অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের বিধিনিষেধ’ কমাতে হবে এবং একক বাজারকে ‘গভীর’ করতে হবে।
২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নানা হারে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ন্যূনতম বা সর্বজনীন শুল্ক। এটি ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হয়। অন্যদিকে নতুন উচ্চ শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন হঠাৎ তা চীন ছাড়া বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য ৯০ দিন মেয়াদে স্থগিত করেন তিনি।চীনের বিষয়ে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পরামর্শ, দেশটিকে সামাজিক সুরক্ষার জাল বাড়াতে হবে, যাতে মানুষ কম ‘সতর্কতামূলক সঞ্চয়’ করে।
অন্যদিকে মার্কিন সরকারকে ঋণ কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়েভা।
২ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নানা হারে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ন্যূনতম বা সর্বজনীন শুল্ক। এটি ঘোষণার দিন থেকেই কার্যকর হয়। অন্যদিকে নতুন উচ্চ শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন হঠাৎ তা চীন ছাড়া বিশ্বের অন্য দেশগুলোর জন্য ৯০ দিন মেয়াদে স্থগিত করেন তিনি। পরে চীনসহ সব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার, মুঠোফোনসহ যাবতীয় ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানিতে ঘোষিত পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার করে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার সঙ্গে বিশ্ব পুঁজিবাজারে ধস নামে। সে ধস এখনো কাটেনি। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থনীতিবিষয়ক কোনো কোনো সংস্থা। এই অনিশ্চয়তার মুখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্যয় ও বিনিয়োগ কমাতে শুরু করেছে। কিছু দেশ নিজেদের মতো করে ট্রাম্পের শুল্ক মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আমাদের নতুন প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমুখী হবে। কিন্তু এতে মন্দা দেখা দেবে না। —ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগত বুধবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) পূর্বাভাসে বলেছে, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে চলতি বছর বিশ্ববাণিজ্য কমবে।
এরপর যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও একই ধরনের মন্তব্য করে। তারা বলেছে, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ঝুঁকির উপাদান বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এ পরিস্থিতি আর্থিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছে।
গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) বলেছে, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে তারা মূল সুদের হার কমিয়েছে।
এসব পূর্বাভাসের তুলনায় আইএমএফের সতর্কতাকে কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি: মন্দার চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির শঙ্কাচীনের যেভাবে ট্রাম্পের শুল্কের জবাব দেওয়া উচিতট্রাম্পের শুল্কাঘাত মোকাবিলায় আসিয়ানের যা করা উচিত১৮ ঘণ্টায় কী ঘটেছিল, যা ট্রাম্পকে শুল্কনীতি স্থগিত করতে বাধ্য করেছিল