আজ আবার ঘটনাবহুল সেই ‘ইত্যাদি’
Published: 7th, February 2025 GMT
সর্বশেষ প্রচারিত ‘ইত্যাদি’র শুটিং ছিল ঘটনাবহুল। শুটিংয়ের একপর্যায়ে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়েছিল দর্শক। থেমে যায় শুটিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় সে ঘটনার দৃশ্য। একপর্যায়ে আবার শুরু হয় শুটিং। ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি লোক হওয়ার কারণে স্থানাভাবে অনেক দর্শকই আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনার ছাদ, রাস্তা, দেয়াল ও গাছে উঠে উপভোগ করেন শুটিং। ঘটনাবহুল সেই ইত্যাদির পুনঃপ্রচার আজ। রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর এটি প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিন বিটিভিতে প্রথমবার প্রচার হয়েছিল এ ইত্যাদি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবারের ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা হয়েছে এবারের পর্ব। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ির সামনে নির্মাণ করা হয়েছিল মঞ্চ।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো ঠাকুরগাঁও জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা, ছিল নাগরদোলাও। ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় ও দিনাজপুর থেকেও দর্শক আসেন। বেলা তিনটা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। বাইরে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। শুটিং চলাকালে থেমে যাওয়া প্রসঙ্গে সেই সময় বিস্তারিত জানিয়েছিলেন বরেণ্য নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সাড়ে সাতটা কি আটটার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। এখানকার স্থানীয় লোকজন খুবই আন্তরিক। তাঁরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লজ্জিত হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, “ঠাকুরগাঁওয়ের লোক ভালো।” তখন আমিও বলেছি, আমি তো বলিনি ঠাকুরগাঁওয়ের লোক খারাপ। ভালো বলেই তো শুটিং করতে এসেছি।’
ঠাকুরগাঁওয়ের মঞ্চে এবার নাতিকে দেখা গেলেও দেখা যায়নি নানিকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ শহরের তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী খুন
নারায়ণগঞ্জে তুচ্ছু ঘটনায় অপূর্ব (২৫) নামে এক ছাত্রদলের কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় শহরের চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সম্রাট (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব শহরের মাসদাইর এলাকার খোকনের ছেলে। এবং আটক মো.সম্রাট শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে।
আটক সম্রাট বলেন, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় তারা কয়েকজন আমাকে আটকিয়ে মারধর করে। আমি কিছুই জানি না। একপর্যায়ে আমাকে মেরে নিচে ফেলে দেয়। এরপর কিভাবে কি হয়, আমি কিছু জানি না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় শহরের মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ হতে ধর্ষণ বিরোধী মশাল মিছিল বের করি। আমাদের মিছিল শহরের চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা যখন বাসায় যাচ্ছিল তখন বালুরমাঠ এলাকাতে অপূর্বকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অপূর্ব আমাদের ছাত্রদল কর্মী ছিলো। ওই সময়ে তাকে ছুরি মারা এক যুবককে আটক করে আশেপাশের লোকজন। সকলে তখন তাকে উত্তম মধ্যম দিচ্ছিল। আমরা আইন নিজের হাতে না তুলে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আহত অপূর্বকে খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল শেষ হয়।তখন মিছিলে অংশ নেয়া অনেকেই প্রেসক্লাবের দক্ষিণ পাশের সড়ক হয়ে বালুর মাঠের দিকে যেতে থাকে। এসময় এক যুবক বলে ৫ আগস্টের আগে এরা কোথায় ছিল? এখন মিছিলে আসছে। এ কথা বলার সাথে সাথে যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলেছে সেই ছেলে পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নিহত ব্যক্তি ছাত্রদলের কেউ না। সে এক রেস্তোয়ায় কাজ করতো। মূলত তার সঙ্গে এক গার্মেন্টকর্মীর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে।