‘স্ট্যাচু অব ফ্রিডম’ থেকে শেখ মুজিবের ম্যুরাল নামিয়ে আগুন
Published: 7th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ‘স্ট্যাচু অব ফ্রিডম’-এ ভাঙচুর চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা এই ভাঙচুর চালায়।
উল্লেখ্য দেশে সবচেয়ে উঁচু স্থানে বসানো শেখ মুজিবের ম্যুরাল ছিল এটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। এরপর ম্যুরালটি বারবাজার শহরে এনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘‘খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল বা স্থাপনা এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না।’’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘‘রাতে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’’
উল্লেখ্য উপজেলার শমশেরনগরে ১২৩ ফুট উঁচুতে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তৈরি করেন আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের। তিনি এর নাম রাখেন ‘স্ট্যাচু অব ফ্রিডম’।
সোহাগ//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র জনত
এছাড়াও পড়ুন:
সুরা কাওসারে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে
সুরা কাওসার (প্রাচুর্য) পবিত্র কোরআনের ১০৮তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৩ আয়াত। অপুত্রক মুহাম্মদ (সা.)-কে নাম নিশানাহীন হতভাগ্য বলে তাঁর শত্রুরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রূপ করলে আল্লাহ বলেন যে তাঁকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে এবং তিনি তাঁর জন্য তাঁর প্রভুর উদ্দেশে নামাজ পড়ুন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর শত্রুরাই নাম নিশানাহীন হতভাগ্য।
মুহাম্মদ (সা.) এর শিশুপুত্র মারা যাওয়ার পর কাফেররা তাঁর ওই কষ্টকর সময়ে আনন্দ করেছিল এবং বলাবলি করছিল, মুহাম্মদ (সা.) এবার নির্বংশ হয়ে গেল। সাধারণত পুত্রের মাধ্যমে বংশধারার সম্মান, ঐতিহ্য চলমান থাকে। মুহাম্মদ (সা.) এর ছেলেসন্তান মারা যাওয়ার পর তারা বলে বেড়াচ্ছিল যে, মুহাম্মদ (সা.) এর নাম, বংশ, পারিবারিক ঐতিহ্য আর টিকে থাকবে না তাঁর মৃত্যুর পর। এই পরিস্থিতিতে আল্লাহ এই সুরা নাজিল করেন।
আরও পড়ুনএক বাগানের মালিকের ঘটনা১৩ জানুয়ারি ২০২৪সুরার সারসংক্ষেপ:
সুরা কাওসারের প্রথম আয়াতে ‘আমি তো তোমাকে কাউসার (ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ) দান করেছি।’ আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে কাওসার দান করেছেন।
পুত্র সন্তান মারা যাওয়ায় তিনি যে দু:খ পেয়েছিলেন, সান্ত্বনা স্বরূপ আল্লাহ তাঁকে পুরস্কার দানের মাধ্যমে খুশি করে দেন। কাওসার শব্দের অর্থ প্রাচুর্য। এটি দুনিয়া ও আখিরাতে বিশেষভাবে হাউসে কাওসার বোঝায়, যা আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে দান করবেন। আল্লাহ তার অনুগ্রহ ও উপহার দেওয়ার কথা বলার পর দ্বিতীয় আয়াতে বলেছেন ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে নামাজ পড়ো ও কোরবানি দাও।’
নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজ হলো শুকরিয়া আদায় ও প্রতিদানের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এই নামাজ পড়তে হবে শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য। লোক দেখানোর জন্য নয়। এর সঙ্গে কোরবানি করার কথাও তিনি বলেছেন।
তৃতীয় ও শেষ আয়াতে বলা হয়েছে ‘যে তোমার দুশমন সে-ই তো নির্বংশ।’ আল্লাহ নবী মুহাম্মদ (সা.) এর শত্রুদের কথা বলেছেন। মূলত তারাই সব ধরনের ভালো থেকে বঞ্চিত; দুনিয়ায় ও আখিরাতেও।
আরও পড়ুনসুরা বুরুজে আছে এক বুদ্ধিমান বালকের ঘটনা১২ জানুয়ারি ২০২৪সুরা কাওসারে তিনটি বিষয়ে আলোচনা
রাসুল (সা.) ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ হচ্ছে, তিনি তাঁকে কাওসার প্রদান করেছেন। কাওসার জান্নাতের একটি নহর। কেয়ামতের দিন রাসুল (সা) উম্মতকে তা থেকে পান করাবেন। কাওসারের অর্থ অনেক। কল্যাণ, নবুওয়াত, কোরআন, হেকমত, ইলম, সাফায়ত, মাকামে মাহমুদ, মুজিজাকেও কাওসার বলা হয়।
রাসুল (সা.) কে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, কাওসারের মতো নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। আল্লাহর জন্য কোরবানি করতে হবে। রাসুল (সা.) কে এ সুসংবাদ শোনানো হয় যে, শত্রুরা অপদস্থ হবে। তাদের নাম-নিশানা মিটে যাবে। আর এমনটাই হয়েছিল। (সুরা কাওসার, আয়াত ১–৩, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)
আরও পড়ুনইয়াজুজ–মাজুজের কাহিনি১২ জানুয়ারি ২০২৪