নোয়াখালীতে সাবেক সংসদ সদস্যের দুটি বাড়ি, সাতটি স্পিডবোট ও চারটি ট্রলারে আগুন
Published: 7th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়ি, সাতটি স্পিডবোট এবং চারটি ট্রলারে ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। যে দুটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এর একটি হাতিয়া পৌরসভার লক্ষ্মীদিয়া এবং অপরটি ব্রিকফিল্ড বাজার এলাকায়। স্পিডবোট ও ট্রলারগুলো হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে নোঙর করা ছিল। এ ছাড়া রাতে লক্ষ্মীদিয়ার দুটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত নয়টার দিকে কিছু লোক মিছিল নিয়ে মোহাম্মদ আলীর লক্ষ্মীদিয়ার বাড়ির সামনে যান। এ সময় মোহাম্মদ আলীর অনুসারীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন মিছিলে থাকা তিনজন। এ ঘটনার জেরে রাত দেড়টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েক শ মানুষ সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর দুটি বাড়িতে হামলা চালান। ভাঙচুরের পর দুটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। একই সময়ে নলচিরা ঘাটে মোহাম্মদ আলীর সাতটি স্পিডবোট এবং চারটি পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রলারে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিস কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
আগুনে পুড়ছে নৌযান। আজ সকালে তোলা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি’কে তিনি অনুরোধ করেছেন, কোন ফরম্যাটে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে না রাখার জন্য। বিসিবি সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে বিসিবি ২২ জনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রীয় চুক্তির খসড়া তালিকা প্রণয়ন করেছিল বলে জানা যায়। বিসিবির সর্বশেষ সভায় ওই কেন্দ্রীয় চুক্তি পাশ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে নাম ছিল ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর। কিন্তু তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তাকে ছাড়াই এখন কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা ঘোষণা করবে বিসিবি।
যার অর্থ বিসিবির সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্ত গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার থাকবেন না তিনি।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাহমুদউল্লাহর মতো নাম ছিল মুশফিকুর রহিমেরও। তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবেন এটা ধরেই নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে মুশফিক আন্তর্জাতিক ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন তিনি।