বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হয়েছে।

গত বুধবার বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন এম গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল বুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি’ নির্ধারণ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ইসিই ভবনের নামফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ ফলক ভেঙে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’ নামে ব্যানার টাঙানো হয়। অমর একুশে হল ও বিজয় একাত্তর হলের নামফলকে থাকা শেখ হাসিনার নাম মুছে দেন শিক্ষার্থীরা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল র ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরগনরে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙা হল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলকও খুলে ফেলেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ইনস্টিটিউটটের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শেখ হাসিনা হলের সামনে থাকা হাসিনার ম্যুরাল ভেঙেন ফেলে তারা। পরে আল-বেরুনী হলের দেয়ালে আঁকা বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিও রঙ দিয়ে মুছে দেন তারা৷

এরপর কিছু শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙচুর করতে আসলে ওই হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাধা দেন। তারা জানান তাদের হলের বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সময় হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও নামফলক ভাঙচুর করতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর রাত দুইটার দিকে শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে হলের নামফলক খুলে ফেলেন।

ইয়াহিয়া জিসান নামের একজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা পলায়নের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। অথচ আমরা বিভিন্ন দেশে দেখেছি যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, গুম-খুন করেছে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি বলে এখন আওয়ামী লীগের দোসরেরা বিভিন্ন জায়গায় মাথা ছাড়া দিচ্ছে। আজ খুনি হাসিনা ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার দুসাহস দেখাচ্ছে। আমরা নতুন বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় কোনো ফ্যাসিস্টের চিহ্ন থাকতে পারে না। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও মুজিবের সব স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চাই বাংলাদেশে কোন ব্যক্তিকে পুঁজি করে যেন আর ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠতে না পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে
  • শেখ পরিবারের নাম ভেঙে দিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
  • বুয়েটের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নতুন নাম ‘স্বাধীনতা হল’
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হল ও ১ স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ বিক্ষুব্ধদের
  • যশোরে শেখ মুজিবের সব ভাস্কর্য, শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর 
  • জাহাঙ্গীরগনরে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙা হল
  •  ৪ আবাসিক হলের নতুন নাম দিলেন শিক্ষার্থীরা
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন আবাসিক হলের নামফলক ভাঙচুর