বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হয়েছে।

গত বুধবার বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন এম গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল বুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি’ নির্ধারণ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ইসিই ভবনের নামফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ ফলক ভেঙে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’ নামে ব্যানার টাঙানো হয়। অমর একুশে হল ও বিজয় একাত্তর হলের নামফলকে থাকা শেখ হাসিনার নাম মুছে দেন শিক্ষার্থীরা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল র ন

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতে আদালতে শুনানি, প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের ৭ দিন এবং বাকি ৩ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম সমকালকে জানান, শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামি আগেই হেফাজতে ছিলেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

চার আসামি হলেন- শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগম (৪০)।

গত শনিবার (৮ মার্চ) দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ করেননি।

মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে শিশুটি ঘুমায়। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই। মেঝেতে পড়ে আছে। তখন সে বড় বোনকে জানায়, গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেন তিনি। পরদিন সকাল ৬টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে একই কথা জানান। তখন তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি জানায়, রাতে দুলাভাই দরজা খুলে দিয়েছিল। তখন তার বাবা (হিটু শেখ) তার মুখ চেপে ধরে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা চেপে ধরা হয়েছিল। পরে তাকে বোনের কক্ষে ফেলে রেখে যায় হিটু শেখ। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ