‘বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম’ ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব’ আর নেই
Published: 7th, February 2025 GMT
যমুনা সেতুর দুই প্রান্তের স্টেশনের নাম পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখন থেকে আগের নামে ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে স্টেশন দুুটি আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইনে টিকিটি বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি এ তথ্য জানায়।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, স্টেশনগুলোর নতুন নাম ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে প্রদর্শিত হচ্ছে।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই একটি ছোট নোটিশ দেখা যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চলের দুইটি স্টেশনের নাম (বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব) পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের পরিবর্তে সায়দাবাদ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বের পরিবর্তে ইব্রাহিমাবাদ দিয়ে ওয়েবসাইট ও রেলসেবা অ্যাপে টিকিট কেনার জন্য অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন, সরকারকে বলল বিএনপি
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, এর ব্যত্যয় হলে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে।
বিএনপি বলেছে, কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতিটি পাঠান।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর শুরুর পর গত বুধবার রাতে খুলনার ‘শেখ বাড়ি’–তে ভাঙচুরের প্রথম খবর আসে। এরপর কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে হামলা হয়। এরপর গত দুই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কমপক্ষে ৩৩টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অন্তত অর্ধশত ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আটটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ–অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলে গত বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকগুলো ভেঙ্গে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।’
বিএনপির উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি–বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যার উপসর্গ ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান।
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে। ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায়, জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে, দেশে–বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। অথচ জুলাই ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ নানান ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন–তখন সড়কে “মব কালচারের” মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুনশিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই–আগস্টের ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা এবং আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, নিন্দিত ঘৃণিত পলাতক স্বৈরাচার ও তার দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, পরাজিত ফ্যাসিস্টদের উসকানিমূলক তৎপরতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অতি জরুরি অগ্রাধিকার, অথচ এসব বিষয়ে দৃশ্যমান ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
বিবৃতিতে বিএনপি বলে, এখনো প্রশাসনকে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসরমুক্ত করা হয়নি, বিচার বিভাগে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিদ্যমান, পুলিশ প্রশাসনে গণ–অভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনো কর্মরত। এমতাবস্থায় সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।