বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর উপজেলাসংলগ্ন বাসভবন ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি)  রাত ৮টার দিকে প্রথমে শম্ভুর উপজেলা সড়ক সংলগ্ন বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে ফার্মেসি পট্টির জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে তারা।

ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেন জেলার সমন্বয়ক মুহিত নিলয় এবং মীর নিলয়। এ সময় তারা স্বৈরাচারবিরোধী স্লোগান দেন। 

মুহিত নিলয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্বৈরাচারী হাসিনা কথা বললেই দফায় দফায় ভাঙচুর হবে। তিনি মানুষের রক্ত চুষে খেয়ে পালিয়ে আছে, আর এখন আবার নতুন করে দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে। তার আর কোনো কথা বাংলার জনগণ শুনতে চায় না।’’

মীর নিলয় বলেন, ‘‘হাসিনার দোসরদের স্থাপনা ভাঙচুর করেছি। ওদের কোনো অস্তিত্ব রাখবো না।’’

ইমরান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছনের দাবিতে আজ দুপুর ১২টা থেকে তাঁরা পিএসসির সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরের পর তাঁদের ৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সমাধান না পেয়ে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁরা পিএসসির সামনের সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। পরে স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা হন।

পুলিশের বাধা পেয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকে আওরঙ্গজেব নামে একজন চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা যে স্মারকলিপি নিয়ে এসেছিলেন, সেটি পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়েছেন। এই স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পুলিশ পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছে। আর আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদলকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা এখন (রাত ৯টা ২০ মিনিট) সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন।

আওরঙ্গজেব বলেন, তাঁদের দাবি হচ্ছে ৪৪তম বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ করার পর ৪৬তম বিসিএসের কার্যক্রম শুরু করা। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভার (মৌখিক পরীক্ষা) এক দিন পরেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। অনেক চাকরিপ্রার্থীকে এক শহরে ৪৪তম বিসিএসের সাক্ষাৎকার দিয়ে অন্য শহরে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। এমনও হতে পারে কেউ একটি পরীক্ষায় অংশ নিলে আরেকটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা