বগুড়া বিএনপিতে মান্নাকে নিয়ে টানাপোড়েন
Published: 7th, February 2025 GMT
বিএনপি জোটের শরিক হিসেবে ২০১৮ সালে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আগামী নির্বাচনেও তিনি জোটবদ্ধ নির্বাচনে আগ্রহী এবং তা নিজ দলের প্রতীক ‘কেটলি’ নিয়ে। কিন্তু বিএনপির তৃণমূল বাইরের প্রার্থী মানতে নারাজ। মান্নাকে নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। যদিও সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলছেন, হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে আসছি। নির্বাচনও জোটবদ্ধ হয়ে করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নাগরিক ঐক্যের নিবন্ধন ছিল না বলে ধানের শীষ নিয়েছিলাম। এখন আমার দল নিবন্ধিত। কেটলি প্রতীকই হবে আমার নির্বাচনী প্রতীক।’
বগুড়া-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এমপি হন। এর পর ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি জয় পায়। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। ২০১৮ সালে ধানের শীষ নিয়ে মান্না হেরে যান জাপার কাছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। নবীন-প্রবীণ মিলে বিএনপির ছয় নেতা আলোচনায়। তারা হলেন– জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি এ কে এম হাফিজার রহমান, অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, ড্যাব নেতা ডা.
সূত্র জানায়, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মুখে কিছু না বললেও দলের বাইরে কাউকে মেনে নেবেন না। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা বলেছেন, বগুড়ায় একটি আসনও সমমনাদের দেওয়া হবে না। স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের বড়টি নিয়ন্ত্রণ করেন মীর শাহে আলম। তারা সবাই মান্নাবিরোধী। তবে অন্য পক্ষ ভেতরে ভেতরে মান্নাকে সমর্থন দিচ্ছে।
বিএনপির একাংশের দাবি, মান্না নৌকা
এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। আগামীতে জোটের প্রার্থী হিসেবে কেটলি নিয়ে লড়লে আসনটি জামায়াতের ঘরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি বলেন, ‘মান্নাকে আসন ছাড় দেওয়া হবে কিনা, জানি না। তবে তাঁর সম্পর্কে বিএনপির ভোটার ও নেতাকর্মীর ধারণা নেতিবাচক।’
মীর শাহে আলম বলেন, ‘বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখভাল করছেন। দল যাকে বেছে দেবে, তাঁর হয়ে কাজ করব।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী তারা
প্রতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব ক্যানসার দিবস। বলিউডের বেশ কজন তারকা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। তাদের সাহসী মনোবল এই লড়াইয়ে জয়ী হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের লড়াকু মনোভাব লাখো ক্যানসার আক্রান্তকে আশার আলো দেখিয়েছে। বিশেষ দিনে বলিউডের এমন সাত তারকাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
কিরণ খের
২০২১ সালে অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কিরণ খেরের মাল্টিপল মাইলোমা ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের রক্তের ক্যানসার। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। চিকিৎসা চলাকালীনও টেলিভিশন রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন এই অভিনেত্রী। এই সংগ্রামে জয়ী হয়ে কাজেও পুরোদমে কাজে ফিরেছেন কিরণ।
রাকেশ রোশান
২০১৯ সালে বলিউড পরিচালক, অভিনেতা হৃতিক রোশানের বাবা রাকেশ রোশানের গলায় স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা ধরা পড়ে। হৃতিক রোশান ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, “বাবা সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ। কয়েক সপ্তাহ আগে ক্যানসার ধরা পড়লেও পুরো উদ্যমে এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
আরো পড়ুন:
বলিউডের ব্যয়বহুল ৬ বিবাহবিচ্ছেদ
আসছে ‘মুন্না ভাই থ্রি’, যা বললেন পরিচালক
সোনালি বেন্দ্রে
২০১৮ সালে বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রের মেটাস্ট্যাটিক ক্যানসার ধরা পড়ে। চতুর্থ স্টেজে তার ক্যানসার শনাক্ত হয়। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সোনালি লিখেছিলেন, “একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এই লড়াই লড়ছি। কারণ আমার পাশে রয়েছে আমার পরিবার ও বন্ধুরা।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হন সোনালি।
সঞ্জয় দত্ত
২০২০ সালের আগস্টে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। স্টেজ ফোরে ক্যানসার শনাক্ত হলেও কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবেগঘন এক পোস্টে তিনি লেখেন, “শেষ কয়েকটা সপ্তাহ আমার পরিবার ও আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কিন্তু যেমনটা বলা হয়ে তাকে, ঈশ্বর সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ তার সবথেকে শক্তিশালী সৈনিকদেরই দেন।”
মহিমা চৌধুরী
‘পরদেশ’খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হন। ২০২২ সালে অভিনেতা অনুপম খের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের খবর দেন। পাশাপাশি তাকে ‘হিরো’ বলেও মন্তব্য করেন অনুপম। পরে এক ভিডিও বার্তায় মহিমা বলেন, “আমার কোনো লক্ষণ ছিল না। প্রতিবছরই নিয়ম করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই। এবার পরীক্ষার সময় চিকিৎসক সন্দেহবশত স্তনের টিস্যুর কিছুটা অংশ বায়োপসি পরীক্ষা করতে দেন। পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। অস্ত্রোপচারের পর পুরো টিস্যুর বায়োপসি করানো হয়, তখন খুব সূক্ষ্ম একটা অংশে ক্যানসারের উপস্থিতি পাওয়া যায়।” তবে এ লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন মহিমা।
মনীষা কৈরালা
২০১২ সালে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এখন কাজ করছেন তিনি। এমনকি নিজের সংগ্রামের জার্নি নিয়ে একটি স্মৃতিকথাও লিখেছেন এই অভিনেত্রী।
তাহিরা কাশ্যপ
২০১৮ সালে অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করেন। তার ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (DCIS) ধরা পড়ে। যেখানে তার ডান স্তনে উচ্চ-গ্রেডের ক্যানসার কোষ ছিল। চিকিৎসার পর ক্যানসারমুক্ত হন। ২০২৪ সালে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে।
ঢাকা/শান্ত