নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধানের বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বাড়িতে সাবেক সেনাপ্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদ বসবাস করেন।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে শতাধিক যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ড্রইংরুমের সোফায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে একই ব্যক্তিরা চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও ভাঙচুর করে। তবে বাড়িগুলোতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো.
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এনজে
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় দুর্বৃত্তরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এই দুটি হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুইটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। তা ছাড়া তাদের যে কর্মসূচি ছিল সেটি ছিল আজ বৃহস্পতিবার দিনের বেলায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শতাধিক কিশোর-তরুণ ও যুবক লাঠি নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সাবেক সেনাপ্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের দ্বিতল বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ড্রইংরুমের সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময় একই ব্যক্তিরা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ওরফে ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, হামলাকারীদের মধ্যে বেশকিছুর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলা-ভাঙচুরকালে উভয় বাড়ির বাসিন্দাদের কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বাড়িতে পাহারাদার যিনি ছিলেন, তিনি ভয়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, সাবেক সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে তার ছোট ভাই জাবেদ এর দ্বিতল বাড়িতে একদল লোক রাত ৮টার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই ভবনে কেউ ছিলেন না। হামলাকারীরা ওই সময় নিচ তলার সোফার আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সাবেক পৌর মেয়রের বাড়িতেও কিছুটা হামলা-ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে বাড়ির ভেতরে কেউ ঢুকতে পারেনি।