আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনী প্রস্তুতির ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ের দুটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পঞ্চগড়-১ (পঞ্চগড় সদর, তেতুলিয়া, আটোয়ারী) আসনে পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ইকবাল হোসেন এবং পঞ্চগড়-২ (দেবীগঞ্জ ও বোদা) আসনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বোদা উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো.

সফিউল্লাহ সুফির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।

এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পঞ্চগড়-১ আসনে সাবেক জেলা আমির ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল খালেক এবং পঞ্চগড়-২ আসনে অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিলো। যদিও সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেয়নি। তবে ২০২৩ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল খালেক ইন্তেকাল করেন এবং গত রমজান মাসে ইফতারের সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পঞ্চগড়-২ আসনের প্রার্থী এডভোকেট আজিজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। তাদের মৃত্যুর পর থেকেই পঞ্চগড়ের দুটি আসনে জামায়াত মনোনীত কোনো সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলো না।

ঢাকা/নাঈম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘সৌদি আরবে অনেক খালি জায়গা আছে, সেখানেই তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করুক’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন সৌদি আরবের উচিত তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা, কারণ দেশটিতে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এ মুহূর্তে ওয়াশিংটন সফর করছেন নেতানিয়াহু। সেখানেই তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। এই শর্ত নিয়ে কোনো দরকষাকষি সম্ভব নয়, এটাও নিশ্চিত করেছে রিয়াদ। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, আমি এমন কোনো চুক্তিতে যাব না, যা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে বিপদে ফেলবে। বিশেষত ৭ অক্টোবর পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, আপনারা কি জানেন, সেটা কি? একটা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল। সেটার নাম গাজা। গাজার নেতৃত্বে ছিল হামাস, তারাই এই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করতো। আর দেখুন আমরা সেখান থেকে কি পেয়েছি—হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন নেতানিয়াহু। ওই সম্মেলনে 'গাজা দখলের' বিস্ময়কর পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন ও স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা। 

সংবাদ সম্মেলনের অল্প সময় পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয়।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, তারা আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে গাজার যুদ্ধের অবসান ও পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কর্মকর্তারা জানান, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে রাজি না হলেও পশ্চিম তীরের অধিগ্রহণ বন্ধ রেখে রিয়াদকে তুষ্ট করার চেষ্টা চালাতে পারেন নেতানিয়াহু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ