ইউরিক অ্যাসিড কমাতে যা যা খেতে পারেন
Published: 7th, February 2025 GMT
শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমে গেলে কিডনি ও হৃদরোগজনিত একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন—পায়ের তলায় ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া , বাত বা আর্থারাইটিসের সমস্যা ইত্যাদি।
প্রাথমিক অবস্থায় যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অনেক রোগ মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলছেন তারা। ভিটামিন এ ও সি এর উৎস হতে পারে যেসব খাবার।
চেরিফল : এই ফলে আছে অতিমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের ব্যথা, বেদনা দূর করে। এই ফলের খাদ্য গুণ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে।
আরো পড়ুন:
নাক কান গলার যত্নে যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি
শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন
লেবু : চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্য়াসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলালেবু, পাতি লেবু, মোসাম্বি রাখতে পারেন।
আপেল: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর ভিটামিন এ। ভিটামিন এ-এর পর্যাপ্ত যোগান পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেল রাখুন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ। প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হেলথ লাইনের তথ্য, ইউরিক এসিড কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করলে কিডনি থেকে দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে পানি পান করলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে এবং ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। যেখানেই যান সব সময় এক বোতল পানি সঙ্গে রাখুন এক ঘণ্টা পরপর পানি পান করার চেষ্টা করুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ম ণ প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ঢোকার অনুমতি পায়নি চার ট্রাক তৈরি পোশাক, গন্তব্য ছিল স্পেন
ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৈরি পোশাকবোঝাই চারটি ট্রাককে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি (কারপাস) দেয়নি। এতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে গতকাল বুধবার ট্রাকগুলো ঢাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দিতে ২০২০ সালের ২৯ জুন আদেশ জারি করেছিল ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) গত মঙ্গলবার সেই আদেশ বাতিল করে।
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক তিনটি প্রতিষ্ঠান চারটি ট্রাকে পণ্য বোঝাই করে বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসে। ট্রানজিট নিয়ে ওই পণ্য কলকাতার দমদম বিমানবন্দর হয়ে স্পেনে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে ট্রাকগুলো প্রবেশের অনুমতি পায়নি। এতে পণ্যগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোলে এই পণ্যের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট ছিল পদ্মা ট্রেডিং। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক অনিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার করেছে। এর আগেই ট্রাকবোঝাই এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে চলে আসে। পণ্য ঢুকতে না দেওয়ায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’ তিনি জানান, এই সুবিধা বাতিলের এক দিন আগেও ২০ ট্রাক তৈরি পোশাক তাঁদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। সাধারণত তৈরি পোশাকের রপ্তানি গ্রীষ্মে বাড়ে। এখন রপ্তানির ভরা মৌসুম। এই মুহূর্তে ভারতের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ‘যে রপ্তানিকারকের পণ্য ফিরে গেছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি আমাদের কিছু জানাননি। তবে আমরা জেনেছি, ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস থেকে কারপাস দেওয়া হয়নি। যে কারণে পণ্য ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
২০২০ সালের ২৯ জুন এক আদেশে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের কলকাতা বন্দর, নবসেবা বন্দর ও কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছিল সিবিআইসি। এখন সে সুবিধা প্রত্যাহার করল ভারত।
বিবৃতিতে ভারত দাবি করেছে, এসব পদক্ষেপে ভারতের সীমান্ত দিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে না।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল দিয়ে ভারতের ট্রানজিট নিয়ে তৃতীয় কোনো দেশে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হয়, তার বেশির ভাগ যায় ইউরোপের দেশগুলোয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে স্পেন ও সুইজারল্যান্ডে বেশি যায়। এই বন্দর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানি কম হয়।