শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমে গেলে কিডনি ও হৃদরোগজনিত একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন—পায়ের তলায় ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া , বাত বা আর্থারাইটিসের সমস্যা ইত্যাদি।

প্রাথমিক অবস্থায় যদি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অনেক রোগ মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলছেন তারা। ভিটামিন এ ও সি এর উৎস হতে পারে যেসব খাবার।

চেরিফল : এই ফলে আছে অতিমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের ব্যথা, বেদনা দূর করে। এই ফলের খাদ্য গুণ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে। 

আরো পড়ুন:

নাক কান গলার যত্নে যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি

শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন

লেবু : চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্য়াসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলালেবু, পাতি লেবু, মোসাম্বি রাখতে পারেন।  

আপেল: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ কার্যকর ভিটামিন এ। ভিটামিন এ-এর পর্যাপ্ত যোগান পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপেল রাখুন। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ। প্রত্যেকদিন একটা করে আপেল খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

হেলথ লাইনের তথ্য, ইউরিক এসিড কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করলে কিডনি থেকে দ্রুত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে পানি পান করলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে এবং ৭০ শতাংশ পর্যন্ত  ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। যেখানেই যান সব সময় এক বোতল পানি সঙ্গে রাখুন এক ঘণ্টা পরপর পানি পান করার চেষ্টা করুন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ম ণ প ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।

তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।        

সম্পর্কিত নিবন্ধ