আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। মার্কিন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয় ও তারা বরাবরই মার্কিন কর্মকর্তা ও নাগরিকদের ওপর আইসিসির বিচারপ্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই নির্বাহী আদেশের আওতায় মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
গত বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। আর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপরই আইসিসিকে নিষিদ্ধ করার এই নির্বাহী আদেশে সই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগের মেয়াদেও ট্রাম্প নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলায় তিনি ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। পরে সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা প্রত্যাহার করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেন, আইসিসি অবৈধ। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, আইসিসি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে। আইসিসির এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিনিরা বিপদে পড়েছে। মার্কিনিরা হয়রানি, খারাপ আচরণ ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: আইস স র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে নৌ ধর্মঘটের হুমকি
সুরমা নদীর বিভিন্ন ঘাটে কিছুতেই অবৈধ চাঁদাবাজি থামছে না। ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত চলাচলকারী নৌযানে অবৈধ এবং অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের কারণে অতিষ্ঠ নৌযানের হাজার হাজার শ্রমিক-মালিক। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত চাঁদা বন্ধ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দেশব্যাপী নৌ ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
নদীতে চলাচলকারী এসব নৌযানে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন নৌযান মালিকরা। এতে কোনো সুফল মিলছে না। এ নিয়ে নৌযান শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বুধবার বিকেলে ছাতকের সুরমা নদীর তীরে নৌযান শ্রমিক নেতাদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নৌপথে অতিরিক্ত এবং অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে নৌ ধর্মঘটের কর্মসূচি পালন করা হবে।
২০১৬ সালে অবৈধ চাঁদাবাজদের হামলায় নৌযানের সুকানি আরজ মিয়া নিহত হন। চাঁদাবাজরা তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনায় মামলা হলেও নদীতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। চলন্ত নৌযান থেকে নিয়মিতই চলছে চাঁদা আদায়। ব্রিটিশ আমল থেকেই ছাতক ব্যবসায়িক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে বালু-পাথরের ব্যবসার জন্য প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত কার্গো-জাহাজ ও ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি বাল্কহেড এসে সুরমা নদীতে অবস্থান করে। এসব নৌযান বালু-পাথর নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রওনা হলে ঘাটে ঘাটে নামে-বেনামে চলে চাঁদাবাজি।
শুধু তাই নয়, চাঁদা না দিলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নৌযানের মাস্টার, সুকানি ও স্টাফদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধের বিষয়ে স্থানীয় নৌ পুলিশের সহায়তা চেয়েও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। এ ছাড়া কার্গো-জাহাজ ও ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি বাল্কহেডগুলোকে একাধিক স্থানে চাঁদা দিতে হয়। ন্যূনতম ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে এসব চক্র।
বাংলাদেশ কার্গো-ট্রলার বল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের ছাতক শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এলেমান জানান, সুরমা নদীতে ঘাটে ঘাটে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি চলছে। পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও লাভ হয়নি।
সংগঠনের জেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে ১২ দফা দাবি উল্লেখ করে এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরসহ জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন থানায় চিঠিও দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিক বৈঠক ও আলোচনার পরেও উল্লিখিত সমস্যার কোনো সমাধান মেলেনি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারি জানান, নদীতে দুটি কারণে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলাভিত্তিক ইজারাটা স্থলভাগে। সেটি নদীপথে দেওয়ার কারণে অবৈধ চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতার কারণে নৌযান শ্রমিক-মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএর ছাতকের ইজাদার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সোহাগ আহমদ জানান, নদীতে নিয়ম মতোই সরকার নির্ধারিত হারেই চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কখনও নৌযান থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয় না। অনেক সময় নিয়মের চেয়েও কম চাঁদা আদায় করা হয়।
ছাতক নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আনোয়ার হোসেন জানান, ছাতক অঞ্চলে কোনো অবৈধ চাঁদাবাজি নেই। কেউ অবৈধ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।