ভ্যালেন্সিয়াকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সেমিতে বার্সেলোনা
Published: 7th, February 2025 GMT
লা লিগার পর এবার কোপা দেল রে, ভ্যালেন্সিয়াকে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনা। গত মাসের শেষদিকে লা লিগায় ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর এবার কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে দাপুটে জয় পেয়েছে কাতালানরা।
বার্সার এ বিশাল জয়ের নায়ক ছিলেন ফেরান তোরেস। মাত্র ৩০ মিনিটেই দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বলা যায়, এদিন ঘরের ছেলের হাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। তোরেসের জন্মভূমি ভ্যালেন্সিয়ার ফয়েস নামক শহরে, যেখানে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুও হয়েছিল। সেই শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষেই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স উপহার দিলেন তিনি।
মাস্তেলা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তোরেস। এরপর ১৭ মিনিটে লামিন ইয়ামালের শট পোস্টে লেগে ফিরলে সেটি গোলে পরিণত করেন তিনি। ৫ মিনিট পর ফারমিন লোপেজের দুর্দান্ত গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। ৩০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তোরেস, বার্সাকে এগিয়ে দেন ৪-০ গোলে।
বিরতির পরও বার্সার আধিপত্য বজায় থাকে। ৫৯ মিনিটে ইয়ামাল গোলকিপারের ভুল কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৫-০ করেন। এরপর আর কোনো গোল না হলেও, ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সেলোনার হাতে। আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে সেমিফাইনালের ড্র।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর
খুলনা নগরীতে কেএফসি নামের একটি রেস্টুরেন্ট এবং বাটার শো-রুম ব্যাপক ভাঙচুর করেছে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙচুর ও মালপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিকেলে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ফেরিঘাট মোড়ের দিকে মিছিল বের হয় এবং মিছিলটি ফেরিঘাট মোড় ঘুরে আবার শিববাড়ি মোড়ে যায়।
তবে মিছিলের একাংশ নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যায়। এরপর সন্ধ্যায় তারা কেএফসিতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এছাড়া বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাইরে ফেলে দেয়। ভাঙচুরকারীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ভাঙচুরের সময় কেএফসির পাশের ভবনে অবস্থিত বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কেএফসিতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের চেয়ার-টেবিল, ডেস্ক, ক্যাশ কাউন্টার, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু একেবারে ধংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে। কেএফসির সামনের সড়কেও কিছু আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তবে কেএফসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এরপর কিছু লোক নগরীর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে হোটেল টাইগার গার্ডেন ভবনের নিচতলায় বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালায়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কেএফসি ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।