লা লিগার পর এবার কোপা দেল রে, ভ্যালেন্সিয়াকে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনা। গত মাসের শেষদিকে লা লিগায় ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর এবার কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে দাপুটে জয় পেয়েছে কাতালানরা।  

বার্সার এ বিশাল জয়ের নায়ক ছিলেন ফেরান তোরেস। মাত্র ৩০ মিনিটেই দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বলা যায়, এদিন ঘরের ছেলের হাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। তোরেসের জন্মভূমি ভ্যালেন্সিয়ার ফয়েস নামক শহরে, যেখানে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুও হয়েছিল। সেই শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষেই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স উপহার দিলেন তিনি।

মাস্তেলা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তোরেস। এরপর ১৭ মিনিটে লামিন ইয়ামালের শট পোস্টে লেগে ফিরলে সেটি গোলে পরিণত করেন তিনি। ৫ মিনিট পর ফারমিন লোপেজের দুর্দান্ত গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। ৩০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তোরেস, বার্সাকে এগিয়ে দেন ৪-০ গোলে।  

বিরতির পরও বার্সার আধিপত্য বজায় থাকে। ৫৯ মিনিটে ইয়ামাল গোলকিপারের ভুল কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ৫-০ করেন। এরপর আর কোনো গোল না হলেও, ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সেলোনার হাতে। আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে সেমিফাইনালের ড্র।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এতে আসামি হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রয়াত নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতে রিন্টুর পক্ষে আইনজীবী আবদুল মালেক রানা মামলার আবেদন উপস্থাপন করেন।

আদালতে রিন্টুর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ পোস্টার

বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন: রেজা কিবরিয়া

মামলার আরজিতে দেখা গেছে, আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক, হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, মনির হোসেন ওরফে কোম্পানি মনির ওরফে স্প্রিট মনির এবং এএস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফ।

এছাড়াও তৎকালীন আইজিপি, তৎকালীন আইজি প্রিজন, তৎকালীন ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দের নাম রয়েছে মামলার আসামিদের তালিকায়।

ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর চর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। ঢাকার পিলখানা হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এ ছাড়া, একটি অস্ত্র লুটের দায়ে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। 

নাসির উদ্দিন পিন্টু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলেন। তবে আদালতে সাজা হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচন করতে পারেননি তিনি।

নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পিন্টুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েক দিন পরে তিনি অসুস্থবোধ করলে ২৬ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়। পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চিঠি দিয়ে কারাগারে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিঠি পেয়ে একজন চিকিৎসক গেলেও তাকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালের ৩ মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কারণে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৭ (১) ধারা মতে আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।

নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু বলেন, “আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি তার অবদানকে ভয় পাচ্ছিল হাসিনা সরকার। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেওয়া হয়। এরপর কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে আমার ভাই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিজ খরচে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে তাকে ঢাকায় না রেখে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসা না করে সুপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।”

নাসিম আহমেদ রিন্টুর আইনজীবী আবদুল মালেক রানা বলেন, “আদালতে মামলার আরজি জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত বক্তব্য শুনেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আদালত কোনো আদেশ দেননি। আজ বিকেলে কিংবা পরে আদালত আদেশ দিতে পারেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য এটি কোনো তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠানো হতে পারে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেনারসি
  • মাহির এই সময়
  • ফেরেট ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে
  • যারা তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে চায় তাদের এড়িয়ে চলি: মাহি
  • বিপদের সময় বলতে হবে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
  • দৌড়াতে পারবেন না, তবু আলিসের ওপর ভরসা ছিল চিটাগংয়ের
  • হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে জয়পুরহাটের সেই মাঠে খেললেন নারী ফুটবলাররা
  • কোটচাঁদপুরে অতিরিক্ত টাকা দাবি, তোপের মুখে সাব-রেজিস্ট্রার
  • রাজশাহীতে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন