বাদিউল কবীর সভাপতি, নিজাম উদ্দিন মহাসচিব
Published: 7th, February 2025 GMT
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মো. বাদিউল কবীরকে সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের নিজাম উদ্দিন আহমেদকে মহাসচিব করে ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি মো.
আরিফুল ইসলাম, আবু বক্কর (সুমন), মো. ফিরোজ কবীর, মো. আলী রেজা, মোহাম্মদ রহমতুল্ল্যাহ বাবু, মো. সাহেব আলী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. নুরুল আলম, দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুস সবুর, সহ-দপ্তর বায়জিদ হাসান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুমন মিজানুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. আরিফ হুসাইন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. সোহাগ, আহসান হাবীব, মো. নাছিমুল আলম, নির্বাহী সদস্য পদে মো. আমির হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন, মো. জুয়েল রানা, মো. আমিনুল ইসলাম, নাসির তালুকদার, সোহেল রানা, মো. ইকবাল হোসেন, মো. শাহিন, মো. খোরশেদ আলম, মো. মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন, মাহে আলম (ছোট), মো. কবির মিয়া, মো. আনিসুর রহমান, কাজিমুল ইসলাম, মো. বাতেন, নাকিব হোসেন, তিতুমীর হোসেন, রবিউল ইসলাম, রনজিৎ কুমার শীল, তাজমীন আক্তার, রোমান মিয়া, তৈয়বুর রহমান, জাকির হোসেন, সোহেল রান, মনিরুজ্জামান, ফজলুল হক, মিজানুর রহমান, জাহিদ হোসেন, রিয়াদুজ্জামান, মোললা শামীম আহসান, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ আহসান হাবিব, নিজামুল হক, কামরুল হোসেন, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে কাউন্সিল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এএসএম. আব্দুল হালিম।
প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বাবুল মিঞা, ওবায়দুর রহমান, ড. মো. সুরাতুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ফারাহ শাম্মী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশানর নাসরিন জাহান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান মিঞা, দৈনিক যায়যায়দিনের নির্বাহী সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব গোলাম রাজ্জাক, ২০২৪ আন্দোলনে ছাত্র সমন্বয়ক শহীদ নাসিব হাসান রিয়ান এর পিতা এবং সংযুক্ত পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাফর আহমেদের সহধমির্ণী সাজেদা জাফর পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তোয়াহা।
এর আগে সংযুক্ত পরিষদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। সংযুক্ত পরিষদের ৯ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
নঈমুদ্দীন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম জ ন র রহম ন ল ইসল ম মন ত র আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।