শান্ত হোন, সরকারকে কাজ করতে দিন: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
Published: 7th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জনগণকে শান্ত হওয়ার, সরকারকে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এই আহ্বান জানান।
‘থামুন!’ শিরোনামে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, ‘শান্ত হোন। সরকারকে কাজ করতে দিন। বিচার ও সংস্কার হবেই। আমি জানি, এ উত্তপ্ত মৌসুমে কেউ থামতে বলবে না আপনাদের। কিন্তু, আপনারা গালি দিলেও বলব, থামুন।’
আরও পড়ুন‘গড়ার তাকত আছে আমাদের?’ প্রশ্ন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস উপদেষ্টা মাহফুজের১৮ ঘণ্টা আগেএখন গঠনমূলক রাজনীতির সময় বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘জনগণ এবার রাজনৈতিকভাবে শিক্ষিত হবার সুযোগ পেয়েছে। এখন গঠনমূলক রাজনীতির সময়। উত্তম বিকল্প দেখানোর সময়। প্রতিরোধের প্রয়োজনেই দরকার নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত, প্রাজ্ঞ ও স্থির করে তোলা।’
মাহফুজ আলম তাঁর স্ট্যাটাসে অভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘমেয়াদী লড়াই। প্রস্তুতি নিন, হঠকারিতা করবেন না। অভ্যুত্থানের ফসল নষ্ট করবেন না। শত্রুরা আপনাদের যেভাবে দেখতে ও দেখাতে চায়, সেপথে না যাওয়াই এ দেশের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ৩২ নম্বরে ভাঙচুর১৬ ঘণ্টা আগেফেসবুক স্ট্যাটাসের শেষ অংশে একটি নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার করেন মাহফুজ আলম। তিনি তাঁর স্ট্যাটাসে বলেন, ‘হাসিনার দিয়ে যাওয়া ট্রমা যেন আপনাদের উপর ছায়া না ফেলে। আমরা একটা নূতন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়বই। দীর্ঘপথ, কিন্তু আমাদের জাতির সামনে আর কোন বিকল্প নাই।’
আরও পড়ুনভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ ভারত’
বাংলাদেশের সাথে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায় ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেছেন। খবর এএনআই।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।”
জয়সওয়াল বাণিজ্য সমস্যা এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাণিজ্যিক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করলে নেপাল ও ভুটানের সাথে ঢাকার বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে যে যানজট দেখা যাচ্ছে তার কারণে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবে আমি আপনাদের এটাও মনে করিয়ে দেব যে, এই ব্যবস্থাগুলো ঘোষণা করার আগে বাংলাদেশের দিকে কী কী ঘটনা ঘটেছে তা দয়া করে একবার দেখে নিন। আঞ্চলিক একীকরণ ও বাণিজ্য সম্পর্কে আপনার ইস্যু, ট্রান্সশিপমেন্ট সম্পর্কিত আমাদের ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর প্রভাব ফেলবে না। সুতরাং, আমাদের মনে আছে যে আঞ্চলিক বাণিজ্যকে উন্নীত করা দরকার। তাই আমি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এভাবেই দেখব। আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে আসছি।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি ভারত লক্ষ্য করেছে বলে জানান জয়সওয়াল।
ঢাকা/শাহেদ