গত জুলাই-আগস্টের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা পৌঁছে যাচ্ছে কৃষকের পছন্দের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। বীজ ও সার প্রদানের পাশাপাশি প্রণোদনার এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে এমএফএসের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই প্রণোদনা কৃষকরা তাদের পছন্দের এমএফএস অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করার সুযোগ পায়। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার কৃষক তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টেই সরকারি প্রণোদনা গ্রহণ করতে চেয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যবহার করার পাশাপাশি কাছের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে হ্রাসকৃত চার্জ ৭ টাকায় ক্যাশআউট করার সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।

গত বছর আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ রকম ৭ জেলার ৫৬টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন দ্রুততম সময়ে ঘরে বসেই সরকারি প্রণোদনার অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন য য়

এছাড়াও পড়ুন:

এবার বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে দুদকের অভিযান

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবারো অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্র জানা গেছে।

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন।

জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দল প্রথমে এসেই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিএসইসির সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।

এর আগে গত ২ মার্চ বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলো শিগগিরই কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদক।

এর আগে অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ২০১০ সাল পরবর্তী দুই কমিশনের মেয়াদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রসপেক্টাসে থাকা আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যেও ম্যানিপুলেট করা হয়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকা কোম্পানিকে সবল দেখানো হয়। তারপর মার্কেটে ছাড়া হয় আইপিও। সেই কোম্পানি অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও করেছে। তারপর একপর্যায়ে তাদের শেয়ারদর পড়তে শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিভিন্ন সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে সতর্ক করে সুপারিশ করা হলেও বিএসইসি তা আমলে নেয়নি। 

এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিক মূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়েছে বলে দুদক জানায়। 

দুদক জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় টিম আরো প্রত্যক্ষ করে যে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্সশিট ও ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজারের তৈরীকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে বিএসইসি আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে দুদক টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ