বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের হাতে প্রণোদনা পৌঁছে যাচ্ছে বিকাশে
Published: 7th, February 2025 GMT
গত জুলাই-আগস্টের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা পৌঁছে যাচ্ছে কৃষকের পছন্দের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। বীজ ও সার প্রদানের পাশাপাশি প্রণোদনার এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে এমএফএসের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই প্রণোদনা কৃষকরা তাদের পছন্দের এমএফএস অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করার সুযোগ পায়। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার কৃষক তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টেই সরকারি প্রণোদনা গ্রহণ করতে চেয়েছেন। বিকাশের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যবহার করার পাশাপাশি কাছের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে হ্রাসকৃত চার্জ ৭ টাকায় ক্যাশআউট করার সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।
গত বছর আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ রকম ৭ জেলার ৫৬টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন দ্রুততম সময়ে ঘরে বসেই সরকারি প্রণোদনার অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনে নির্মমভাবে বন্যহাতি হত্যা
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একটি হাতি নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়েছে। হাতিটির বয়স আনুমানিক সাত বছর। এটির পিঠে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাতিটির দাঁত ও নখ কেটে নিয়ে গেছে কে বা কারা।
দাঁত কেটে নেওয়ার সময় ক্ষতবিক্ষত হাতিটির শুঁড়ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার জলদী রেঞ্জের পাইরাং বিটের আওতাধীন মনুমার ঝিরি এলাকায় গহিন বনের ভেতর এমন প্রাণহীন হাতিটির সন্ধান মিলেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, ফাঁদ পেতে হাতিটিকে আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মৃত হাতিটিকে হেফাজতে নেয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
ময়নাতদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীরভাবে আঘাত করে হাতিটিকে মারা হয়েছে। ফাঁদ পেতে দুয়েক দিন আগেই হাতিটিকে আটকে মারা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। সম্ভবত হাতিটি দলছুট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো একটি চক্র হাতিটিকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হবে। হাতিটিকে বনের ভেতরেই মাটিচাপা দেওয়া হবে। ব
ন কর্মকর্তাদের ধারণা, দাঁত ও নখ পাচারের উদ্দেশ্যে হাতিটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর সঙ্গে সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র জড়িত। ঘটনাটির খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।