ধারাবাহিকভাবে লোকসান দিয়ে আসা রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো যৌথ ব্যবস্থাপনায় চালানোর বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। একসময় এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে পিছিয়ে যায় জাপান, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কনসোর্টিয়ামটি যৌথ ব্যবস্থাপনায় চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন ও চালাতে ফের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ কথা জানিয়ে গত মাসে শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। 

চিঠিতে বলা হয়, থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাত বাংলাদেশের চিনি ও খাদ্যশিল্পে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। এ খাতে তাদের চলমান বিনিয়োগের অংশ হিসেবে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) ও থাইল্যান্ডের এক্সিম ব্যাংকের অফশোর অর্থায়নে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন চিনিকলগুলোর আধুনিকায়নে ২০১৯ সালে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সুটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও জাপানের মারুবেনির প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা সহায়তা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। 

উদ্যোগটি বাস্তবায়নে বিএসএফআইসি এবং সুটেকের নেতৃত্বে গঠিত কনসোর্টিয়ামের মধ্যে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-ভিত্তিক সারাকারা ইন্টারন্যাশনাল, আওয়াদ আল আমরি ও বেদোয়ার যৌথ উদ্যোগে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে যৌথভাবে সেতাবগঞ্জ, রাজশাহী ও মোবারকগঞ্জ চিনিকল পরিচালনায় ২০২১ সালের ২৮ মার্চ একটি পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর কনসোর্টিয়ামের মধ্যে একটি যৌথ কোম্পানি গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। 

সেই অনুযায়ী ২০২১ সালের ৬ জুন উভয় পক্ষের মধ্যে অংশীদারিত্বের আনুপাতিক হারসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা ও নেগোসিয়েশনপূর্বক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের তখনকার অতিরিক্ত সচিবকে (রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন) আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ ক্ষেত্রে সুটেকের প্রাথমিক প্রস্তাবে বিএসএফআইসির আওতায় শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান করার কথা বলা হলেও পরে সরকারের সিদ্ধান্তে সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকাধীন যৌথ কোম্পানি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ন কল কনস র ট য় ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পিএসসি জরুরি সভায় বসেছে, আসতে পারে কিছু সিদ্ধান্ত

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোসহ পিএসসি’র সংস্কারের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সভায় বসেছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। পিএসসির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে এ সভা শুরু হয়। পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম সভায় সভাপতিত্ব করছেন।

পিএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, বেলা আড়াইটার দিকে সভা শুরু হয়। সভা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি সংবলিত যেকোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। চলমান নানা পরিস্থিতি নিয়ে সভায় আলোচনা হবে।

আরও পড়ুনযেসব নিরাপত্তাঝুঁকিতে আছে পিএসসি, কী বলছেন চেয়ারম্যান৫ ঘণ্টা আগে

এর আগে সকালে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোসহ পিএসসি’র সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন একদল চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে তাঁরা সেখান থেকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসির দিকে যেতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রথমে বাধা দেন। পরে চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে নির্বাচন কমিশন থেকে পিএসসির যাওয়ার পথ থেকে সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় চাকরিপ্রার্থীদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানের প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডে ‘৮ মে করব দে’, ‘ড্রিম পিএসসি’ , ‘ফ্যাসিজম নট অ্যালাউড’সহ নানা স্লোগান লেখা ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ