বয়স্ক নাগরিকদের সেবাদানকারী ‘প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান’ (বাইগাম) নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের বেতন না হওয়া, পরিচালনার স্তরে স্তরে দুর্নীতিসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়ছে। অনেক সেবার ব্যবস্থাও নেই হাসপাতালটিতে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে চারদিকে। পরিবর্তিত এ পরিস্থিতিতে বাইগামের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামীকাল। নির্বাচনে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ থেকে মহাসচিব পদে লড়ছেন ড.

মু. আবুল হাশেম। সমকালকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ জমি রেজিস্ট্রিকরণ, চিকিৎসক ও শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেতন চালুর জন্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহের কাজগুলো জোর গতিতে করা হবে। এ ছাড়া আগারগাঁওয়ের হাসপাতালটিকে ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ জেরিয়াটিক স্পেশালাইজড হাসপাতাল করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

ড. হাশেম দুই যুগের বেশি সময় ধরে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছেন। ১৯৬০ সালে স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে নজর রেখে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকতে চান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ৫০ শয্যার প্রবীণ হিতৈষী হাসপাতালটিতে অস্ত্রোপচার ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগও নিতে চান ড. হাশেম। তাঁর প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শামসুল হক।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কামরাঙ্গীরচরে চা দোকানিকে মারধরের পর হাতবোমার বিস্ফোরণ, পরে গণপিটুনিতে দুজন নিহত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে মো. মাসুদ (২৯) ও নাদিম (৩৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহাগ (৩০) নামের একজন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনির শিকার ৩ ব্যক্তিসহ ৯–১০ জন কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে সিলেটি বাজার এলাকার চা দোকানদার নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হলে তাঁরা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করেন। নূর মোহাম্মদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। পাঁচ–ছয়জন পালিয়ে যেতে পারলেও তিনজনকে কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন।

পুলিশের লালবাগ অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনিতে মাসুদ ঘটনাস্থলে মারা যান। থানা–পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নাদিম ও সোহাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। সোহাগ গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ