দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আজীবন সদস্য খায়রুল কবিরের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার, ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ছাড়া পাকিস্তান শিল্প ব্যাংকের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা খায়রুল কবির পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের (বর্তমানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র প্রসেসিং ও মুদ্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন।

ঘোড়াশালের সম্ভ্রান্ত কবির পরিবারে জন্ম নেওয়া খায়রুল কবিরকে মৃত্যুর পর সেখানকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মারা গেছেন 

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদাউই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

আব্দুল্লাহ আহমেদের জামাতা এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি। 

কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা  এবং তাৎক্ষণিক তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। 

আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে ২০০৩ সালে পদত্যাগ করলে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে মধ্যপন্থি ইসলামের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ।

জ্বালানি ভর্তুকি পর্যালোচনা করা নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বছর খানেক পর ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ