জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপরায়ণ বক্তব্য জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ধানমন্ডিসহ সারা দেশে। শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক ও অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত খুনি হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দ্রুত বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের মাটিতে বসে শেখ হাসিনা যে বিদ্বেষমূলক ও অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হোক। সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বিদেশের মাটিতে বসে কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে না পারে।

বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় ভারত সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ছাত্র ও সাধারণ জনগণের প্রতি শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। খুনি হাসিনা ও তার দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা মনে করে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি জনমনে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, তার সমাধান কেবল দ্রুত ও সুষ্ঠু ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই সম্ভব।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণের ক্ষোভ প্রশমিত হবে এবং দেশ স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও গাজায় নির্যাতিত মানুষের পাশে সংহতি জানিয়ে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন ঘোষণা করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই চরম দুর্ভোগ, অবিচার এবং মানবিক সংকটের সময়ে গাজার জনগণের সঙ্গে অটল সংহতি প্রকাশ করছি এবং বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছি। আমরা গাজার জনগণের উপর নিপীড়ন, দখলদারিত্ব এবং সম্মিলিত অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি। অতএব, আমরা আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) কোনো ক্লাস, ল্যাব বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবি উপাচার্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এটি কেবল একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়- এটি মানবাধিকার, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের বিষয়। আমাদের নীরবতা আমাদেরকে জড়িত করে তুলবে। আমাদের কর্মকাণ্ড শান্তি, স্বাধীনতা এবং প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে; ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, গাজার ন্যায়বিচারের জন্য।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা #StrikeForGaza #StandWithGaza #FreePalestine হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিছিয়ে গেল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’
  • ইউনূস-মোদি বৈঠকের ফলাফল কী
  • ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক হতে হবে সম্মান ও সমতার
  • ফিলিস্তিনের জন্য আমরা আরও যা করতে পারি
  • বিক্ষোভের আড়ালে লুটপাট–ভাঙচুরের ঘটনায় বাংলাদেশ জাসদের নিন্দা
  • ‘জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে’
  • ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি
  • দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে: পিন্টু 
  • গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর
  • পরীমণি কার সঙ্গে খাবে, শোবে, তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার: তসলিমা