যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ উড়োজাহাজ ফিলিপাইনে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৪
Published: 6th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি ছোট উড়োজাহাজ ফিলিপাইনে বিধ্বস্ত হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মিন্দানাও দ্বীপের আম্পাতুয়ানের কৃষি পৌরসভার কাছে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ বলেছে, এখনো উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয়ও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র জোপি ভেনচুরা এএফপিকে বলেন, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে একটি জল মহিষকে আঘাত করে। এতে মহিষটি গুরুতর আঘাত পেয়েছে।
পৌরসভার উদ্ধারকারী রিয়া মার্টিন বলেছেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে আমরা চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।’
এই উদ্ধারকর্মী আরও বলেন, ‘মরদেহগুলো বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পাশে পাওয়া গেছে। উড়োজাহাজটি ভেঙে দুই টুকরা হয়ে গেছে।’
ফিলিপাইনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল। ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র কনিষ্ক গঙ্গোপাধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিপাইনের মাগুইন্দানাও দেল সুর প্রদেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমির জেহাদ টিম আম্বোলোদতো বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাঁদের বিদেশি নাগরিক বলে মনে হচ্ছে।
ফিলিপাইনে স্বল্প সময়ের জন্য নিয়মিত পালা করে যুক্তরাষ্ট্রের অল্প কিছু সেনা মোতায়েন করা হয়। মিন্দানাও দ্বীপে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে তাদের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
ফ্লাইট চলাচলের তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্যমতে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর এন৩৪৯সিএ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রিয়ার নামে নিবন্ধিত। উড়োজাহাজটির নাম ও মডেল নম্বর বিচক্রাফট সুপার কিং এয়ার বি৩০০।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘কোথাও যাচ্ছি না, অবসরও নিচ্ছি না’- চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে রোহিত
‘‘আর একটা কথা, আর কোনও গুজব যাতে না ছড়ায়, সেজন্য জানাচ্ছি, আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেব না। ’’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল জয়ের পর ট্রফি হাতে, গলায় মেডেল জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শিরোপাজয়ী রোহিত শর্মা। লম্বা সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সবশেষে রোহিত নিজ থেকে এমন ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দেন।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ছেড়ে দেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রোহিত চালিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেট। ওয়ানডে রোহিত কবে ছাড়বেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল। বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ভারত কোন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে সেটাও ছিল ভাবনার।
২০২৫ সালে ভারত জিতল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ের নায়ক রোহিত। ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রোহিত ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু রোহিতের। ২৭৩ ম্যাচে তার রান ১১ হাজার ১৬৮। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রান তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
ভারতের শিরোপা জয়ের পেছনে দলের পারফর্মারদের গভীরতা, নিজেদের বোঝাপড়া এবং উপভোগের মন্ত্রর কথা বললেন রোহিত, ‘‘এটা (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) দলের কোয়ালিটি প্রমাণ করে। দলের গভীরতা প্রকাশ করছে। নিজেদের বোঝপড়া, উপভোগ করার মানসিকতা, উদযাপনের মন্ত্র সব কিছু মিলিয়ে আমাদের দল। এভাবেই আমরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই। বাইরে থেকে প্রচুর চাপ আসে। আমাদের নিয়ে অনেক জল্পনা হয়। কিন্তু ছেলেরা বাইরের সেই চাপ, আবেগ সামলে নিয়ে কিভাবে ম্যাচ জিততে পারব এবং খেলাটা উপভোগ করতে পারব সেদিকে মনোযোগ দেয়।’’
ঢাকা/ইয়াসিন