বিসিএস ২৯তম প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের সভাপতি তারিক, সম্পাদক আলাওল
Published: 6th, February 2025 GMT
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তারিক হাসানকে সভাপতি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) র হ ম আলাওল কবিরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৯তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সার্ভিসের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার ২৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহসভাপতির তিনটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের (এনবিআর) একান্ত সচিব নাজমুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধানের একান্ত সচিব আ স ম জামশেদ খোন্দকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আশফিকুন নাহার।
যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে মোহাম্মদ সাইফুল কবির ও অনিমেষ সোম নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমাম, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হালিম, কোষাধ্যক্ষ পদে ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে রবীন্দ্র চাকমা, প্রকাশনা সম্পাদক পদে শেখ হাফিজুর রহমান ও নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে শামীম আরা নিপা নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ২৯তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২৯তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশাসনের কর্মকর্তারা থাকবেন মাঠে, সচিবালয় চলবে ‘এসইএসে’
বিদ্যমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারকে ‘বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস’ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই ক্যাডার সার্ভিসের পদগুলো মাঠ প্রশাসনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর সচিবালয় চলবে সব সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)’-এর কর্মকর্তাদের দিয়ে। এখানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদের কর্মকর্তারা থাকবেন। ‘এসইএসে’ উপসচিব পদে প্রশাসনের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য সার্ভিসের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখা হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন তুলে দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। পরে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।
সুপারিশ অনুযায়ী, মাঠপর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের শুরুর পদের নাম এখনকার মতো সহকারী কমিশনার। মাঠপর্যায়ে তাঁদের শীর্ষ পদ হবে বিভাগীয় কমিশনার; যাঁদের পদমর্যাদা হবে গ্রেড-১; যা সচিবের সমান। তবে এই সার্ভিসের জন্য একটি শীর্ষ পদ থাকবে, নাম হবে ‘প্রধান কমিশনার’; যিনি বিশেষ গ্রেড পাবেন; যা মুখ্য সচিবের সমান। এর সঙ্গে মিল রেখে অন্যান্য সার্ভিসের জন্যও ভিন্ন নামে পদ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিসিএসের আওতায় বিদ্যমান একীভূত ‘ক্যাডার সার্ভিস’ বাতিল করে সার্ভিসের ধরন অনুযায়ী আলাদা নামকরণের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ২৬টি ক্যাডারকে কমিয়ে ১৩টি প্রধান সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সার্ভিসগুলোর পদসোপান কেমন হবে, তা–ও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন সার্ভিসের শুরুর পদ হবে সহকারী কমিশনার। তারপর পর্যায়ক্রমে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও উপজেলা কমিশনার (এখনকার ইউএনও), যাঁদের বেতন গ্রেড হবে ৬; তারপর অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (এখনকার এডিসি), যাঁদের বেতন গ্রেড-৫; তারপর জেলা কমিশনার (এখনকার ডিসি), যাঁদের বেতন গ্রেড-৩, অর্থাৎ যুগ্ম সচিবের সমান। বর্তমানে তাঁদের বেতন গ্রেড-৫। তার ওপরের পদ হবে অতিরিক্তি বিভাগীয় কমিশনার, যাঁদের বেতন গ্রেড হবে ২। তারপর বিভাগীয় কমিশনার।
অনুরূপভাবে অন্যান্য সার্ভিসের পদগুলো হবে পর্যায়ক্রমে সহকারী পরিচালক, উপজেলা প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক। এর বাইরে প্রতিটি সার্ভিসের জন্য একটি শীর্ষ পদ থাকবে। যেমন ‘চিফ অব হেলথ সার্ভিস’। প্রতিটি সার্ভিসের কর্মকর্তারা পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সব পদে পদোন্নতি পাবেন।
সব সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)’-এ নিয়োগ পেতে পারবেন। এই কর্মকর্তারা সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন, যেখানে বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই সচিবালয় চালাচ্ছেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলছে, প্রশাসন সার্ভিসের যেসব কর্মকর্তা এসইএসে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেবেন না বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন, তাঁরাও নিজ সার্ভিসের পদগুলো, অর্থাৎ অতিরিক্ত জেলা কমিশনার, জেলা কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও প্রধান কমিশনার পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।