ফেনীতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবেক তিন সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের পরিত্যক্ত বাড়ি ভাচুরের পাশাপাশি আগুন দেন। একই সময়ে জেলা শহরে আ. লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ফেনী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে ফেনী-২ আসনের সাবেক সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নানার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক এসব ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ আগস্ট এসব স্থাপানায় এমন হামলা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট ট্রাঙ্ক রোড থেকে লাঠি হাতে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল করে পুরাতন বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বাড়ি গিয়ে সেখানে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ও দেয়াল ভাংচুর করে। পরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা শহরে একটি বাড়ি ও একটি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি শেষে স্থান ত্যাগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেনীর সোনাগাজীতে সাবেক সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে আগুন জ্বলছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আসন র স ব ক স

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন হল থেকে মরদেহ উদ্ধার

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন হল ভবনের ১০ম তলার একটি কক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাবনা সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে ভবনে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার সকালে হ্যামার টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা চালাতে গেলে ভবন পরীক্ষক দলের সদস্যরা তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান।

খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে অবহিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, ডিএসবি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মরদেহটি ভবনের ১০ম তলার একটি রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ফাঁসের দড়ি ছিল। তবে দড়িটি ছেঁড়া দেখা গেছে।

পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর পর দেহে ওজন বেড়ে যাওয়ায় দড়ি ছিঁড়ে লাশটি মেঝেতে পড়ে যেতে পারে। মৃতদেহটি পচে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খাঁন বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করছি, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে, সম্ভবত ঈদের আগেই। গলায় দড়ি থাকায় আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্মার্টফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি তদন্তে কাজে আসবে বলে আশা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ভবন পরীক্ষকরা দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ