খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জমায়েত হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় রেস্টহাউসটি ভাঙচুর শুরু করেন। ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘খুনি হাসিনার আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রড, শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে রেস্টহাউসটি ভাঙা হয়। রেস্টহাউসের গ্রিল, লাইট, দরজা, কমোড খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। উত্তেজিত জনতা সেখানে থাকা পাটের গুদামেও ভাঙচুর চালান।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘কোথাও যাচ্ছি না, অবসরও নিচ্ছি না’- চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে রোহিত

‘‘আর একটা কথা, আর কোনও গুজব যাতে না ছড়ায়, সেজন্য জানাচ্ছি, আমি এই ফরম‌্যাট থেকে অবসর নেব না। ’’

চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল জয়ের পর ট্রফি হাতে, গলায় মেডেল জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শিরোপাজয়ী রোহিত শর্মা। লম্বা সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সবশেষে রোহিত নিজ থেকে এমন ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দেন।

২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম‌্যাট ছেড়ে দেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রোহিত চালিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেট। ওয়ানডে রোহিত কবে ছাড়বেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল। বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ভারত কোন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে সেটাও ছিল ভাবনার।

২০২৫ সালে ভারত জিতল চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি। নিউ জিল‌্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ের নায়ক রোহিত। ২৫২ রানের লক্ষ‌্য তাড়ায় রোহিত ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক‌্যারিয়ার শুরু রোহিতের। ২৭৩ ম‌্যাচে তার রান ১১ হাজার ১৬৮। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রান তার ব‌্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

ভারতের শিরোপা জয়ের পেছনে দলের পারফর্মারদের গভীরতা, নিজেদের বোঝাপড়া এবং উপভোগের মন্ত্রর কথা বললেন রোহিত, ‘‘এটা (চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি) দলের কোয়ালিটি প্রমাণ করে। দলের গভীরতা প্রকাশ করছে। নিজেদের বোঝপড়া, উপভোগ করার মানসিকতা, উদযাপনের মন্ত্র সব কিছু মিলিয়ে আমাদের দল। এভাবেই আমরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই। বাইরে থেকে প্রচুর চাপ আসে। আমাদের নিয়ে অনেক জল্পনা হয়। কিন্তু ছেলেরা বাইরের সেই চাপ, আবেগ সামলে নিয়ে কিভাবে ম‌্যাচ জিততে পারব এবং খেলাটা উপভোগ করতে পারব সেদিকে মনোযোগ দেয়।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ