খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জমায়েত হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় রেস্টহাউসটি ভাঙচুর শুরু করেন। ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘খুনি হাসিনার আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রড, শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে রেস্টহাউসটি ভাঙা হয়। রেস্টহাউসের গ্রিল, লাইট, দরজা, কমোড খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। উত্তেজিত জনতা সেখানে থাকা পাটের গুদামেও ভাঙচুর চালান।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ