Prothomalo:
2025-04-10@09:57:03 GMT

ছাড় পাননি কোচ বাটলারও

Published: 6th, February 2025 GMT

বাফুফের বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন সাবিনা খাতুনদের বিপক্ষে যাচ্ছে, আগের দিনই জানা গিয়েছিল তা। কার্যত সেটাই হয়েছে। কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন দিয়েছে বিশেষ কমিটি। তবে প্রতিবেদনে ছাড় পাননি কোচ পিটার বাটলারও। তাঁর বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনটি আজ রাত ৯টার পর বাফুফের সভাপতির দপ্তরে জমা দিয়েছে বাফুফে গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা আসে সরকারের তরফ থেকে। প্রতিবেদন দেওয়ার সময় মেয়েদের একুশে পদকপ্রাপ্তির বিষয়টি কমিটিকে প্রভাবিত করেছে কি না, সে প্রশ্ন এসেছে।

রাত সাড়ে নয়টায় বাফুফে ভবনের নিচে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বিশেষ কমিটির প্রধান বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়া শুধু ফুটবল নয়, বাংলাদেশের যেকোনো খেলার জন্য বড় প্রাপ্তি। বাফুফে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ, খেলোয়াড়দের কাছে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞ। নারী দলের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সবচেয়ে বড় হলো শৃঙ্খলা।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে আবেগ যেমন ছিল, তারা (মেয়েদের) সাফল্য পেয়েছে, সব দিক বিবেচনা করেই প্রতিবেদন দিয়েছি আমরা। সেখানে মেয়েদের সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেনি।’

আমরা প্রায় প্রতিদিনই অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শুনেছি। সেই আলোকে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু সুপারিশ করেছিবিশেষ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান

প্রতিবেদন তো জমা হলো। এরপর কী? ইমরুল জানিয়েছেন, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, নাকি খেলায়াড়দের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, না বাফুফের সভা ডাকবেন, সে সিদ্ধান্ত তাঁর। নারী ফুটবলে অচলাবস্থা নিরসনে গত শনিবার থেকে কাজ করার কথা জানিয়ে ইমরুল বলেছেন, ‘আমরা প্রায় প্রতিদিনই অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শুনেছি। সেই আলোকে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু সুপারিশ করেছি।’

শোনা গিয়েছিল, ইংল্যান্ড থেকে কাল ঢাকায় ফেরা বাফুফে সভাপতি আজ বাফুফে ভবনে আসতে পারেন এবং নিজ হাতে প্রতিবেদন নিতে পারেন। তবে তিনি ভবনে আসেননি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাফুফে সভাপতি কী ব্যবস্থা নেন, সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

বাফুফের বিশেষ কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়েরা গত ২৯ জানুয়ারি বাফুফে সভাপতির কাছে কোচের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে পরদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে এনে ঠিক কাজ করেননি। তাঁরা বাফুফে সভাপতিকে কোনো সময় দেননি।

কোচ না বদলালে খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন নারী ফুটবলাররা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ষ কম ট ক জ কর ফ টবল ইমর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের মাতাল বিমানযাত্রী সহযাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করলেন

এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে আরেক সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ব্যাংককে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ভারতের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাঁরা একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকালের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছে, সেটার নম্বর এআই২৩৩৬। ভুক্তভোগী যাত্রীর অভিযোগের পর উড়োজাহাজের ক্রুরা ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।

এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। এ ঘটনার কথা বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তরকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে তারা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রুরা যাত্রীদের কাছে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীকে ব্যাংককে নামার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী প্রাথমিকভাবে ব্যাংককে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘যদি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ফ্লাইট পরিচালনা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

ঘটনা খতিয়ে দেখতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কমিটি ঘটনা যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আর্য ভোহরা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস তাঁকে নিষিদ্ধ করে। আর্য ভোহরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন শংকর মিশ্র নামের এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রী মাতাল অবস্থায় এক বয়স্ক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ