কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে সাবিলার গ্লোয়িং সন্ধ্যা
Published: 6th, February 2025 GMT
ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘গ্লো অ্যান্ড বিয়ন্ড বাই গ্লো অ্যান্ড লাভলি’। এতে গ্লো অ্যান্ড লাভলির নতুন ইনোভেশন, ‘ব্রাইটেনিং ফেস সিরাম’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নারী ইনফ্লুয়েন্সার ফারহানা বীথি, সুনেহরা তাসনিম, ঈশায়া তাহসীন, ইশরাত জাহিনসহ প্রায় ৪০ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটর উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গ্লো অ্যান্ড লাভলির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সাবিলা নূর ও উপস্থাপক সারাহ আলম অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
গ্লো অ্যান্ড লাভলি সব সময় নারীদের সৌন্দর্যচর্চার প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে নতুন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়ে আসে। এবার ব্র্যান্ডটি এনেছে ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলি ব্রাইটেনিং ফেস সিরাম’, যা নায়াসিনামাইডসহ বিশেষ উপাদানে তৈরি। এটি ৪ গুণ বেশি উজ্জ্বলতা দেয়।
বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজনে ইনফ্লুয়েন্সাররা স্কিন কেয়ার নিয়ে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবিলা নূর নতুন প্রোডাক্টের ঘোষণা দেন। এরপর ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রোডাক্ট টেস্টিং বুথে সিরাম ব্যবহার করে রিভিউ তৈরি করেন এবং কনটেন্ট তৈরি করেন।
সাবিলা নূর ইনফ্লুয়েন্সারদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান এবং তাঁদের মতামত শোনেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরাই সামনের দিনের ট্রেন্ডসেটার। এটি আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে।’ নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সিরাম এখন স্কিন কেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গ্লো অ্যান্ড লাভলি এটি সহজলভ্য করে সবাইকে চমকে দিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে গ্লো অ্যান্ড লাভলির সাদা ও গোলাপি থিমের সজ্জা ছিল লক্ষণীয়। পুরো আয়োজনটি পরিচালনা করে স্পেস মিডিয়া প্রোডাকশন। অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলার মাধ্যমে পর্দা নামে ‘গ্লো অ্যান্ড বিয়ন্ড বাই গ্লো অ্যান্ড লাভলি’-এর এক গ্লোয়িং সন্ধ্যার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইনফ ল য় ন স র
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছে শাহবাগ: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আওয়ামী লীগের শাসনের সময় শাহবাগ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শাহবাগ একদিনে গড়ে ওঠেনি। এককভাবে কেউ শাহবাগ গড়ে তোলেনি। শাহবাগ কায়েম করতে সমর্থন দিয়েছিল তথাকথিত সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, আমলা, সাংস্কৃতিক কর্মী, বিদেশি এজেন্ট, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়াবিদরাও।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির এ নেতা লিখেছেন, ‘শাহবাগ কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ধরনের মৌলিক মানবাধিকার। কেড়ে নিয়েছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল শাহবাগ।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, ‘শাহবাগ কায়েমে যারা সচেষ্ট ছিল, তাদেরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদেরই সমর্থনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতার মসনদে ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এ সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বিগত পনেরো বছরে সংঘটিত সকল অন্যায়, অপকর্ম, গুম, খুন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমরা আশা রাখি, সকলের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ জমিনে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলাইয়ের শহীদদের স্পিরিট রক্ষায় আমরা সদা জাগ্রত। পুনরাবৃত্তি করছি, বিগত শাসনামলে হওয়া সকল অন্যায় ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
এরআগে আরও একটি পোস্টে তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন, ২০২৫ এ এসে ২০১৩ ফেরানোর চেষ্টা করবেন না।