রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রফিকুল আলী (৩২), মোহাম্মদ আলী (৪০), মো.

রবিউল (২৫), মো. রাজু (১৮), সাইফুল ইসলাম (২৭),  মো. রকিব (১৮), শিমুল (২৪),  ফাইজুল সরকার (৩০), মহর আলী (২৯), শাওন (২০), মেহেদী হাসান ওরফে অন্তর (২০),  মোসা. মুন্নি (২০), মো. রজব (২০), মো. সোহেল (২৮), মো. শাহজাদা (২২), মো. হৃদয় (২৬), মো. রিপন (৪৬), মিজানুর রহমান (৩৮), শাহ আলম (৪০), মো. রিপন শিকদার (৪২), মো. গোলাপ (২৪), মোছা. আসমা খাতুন (২৬) ও মোছা. মনুফা খাতুন (২৮)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে চিহ্নিত মাদক কারবারি, পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী সন্ত্রাসী, চোর, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানানো উচিত: ভারত

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর চালিয়ে ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জয়সোয়ালের মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে দখলদার শক্তি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ৫ ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।’

রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘বাঙালি পরিচয় ও গর্বকে লালনকারী স্বাধীনতাসংগ্রামকে যাঁরা মূল্যায়ন করেন, তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার জন্য এই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত আছেন। এই ভাঙচুরের ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানানো উচিত।’

হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আহ্বানের জবাব দেওয়া হয়নি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে আছেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে প্রত্যপর্ণের জন্য ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। সেই আহ্বানের জবাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃতি বর্ধন সিং। বৃহস্পতিবার ভারতের রাজ্যসভায় লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃতি বর্ধন সিং এ কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কৃতি বর্ধন সিং বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে আসার আগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা “অপরাধের” জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে (এ বিষয়ে) কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ