পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন
Published: 6th, February 2025 GMT
দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে সভাপতি করে মোট ১০ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে পুঁজিবাজারের দায়িত্বে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিবকে।
গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ কমিটি গঠনসংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। ১০ সদস্যের কমিটির অন্যদের মধ্যে থাকবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের একজন করে মোট ছয়জন প্রতিনিধি। এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) দুই চেয়ারম্যানকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দিন শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা গিয়েছিল। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সময়জুড়ে শেয়ারবাজারে মন্দাভাব চলছে। শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে এরই মধ্যে একাধিক দফায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের প্রতিবাদে সর্বশেষ মতিঝিলে বিনিয়োগকারীদের এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করা হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে টেকসই উন্নয়নে সরকার ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০ সদস য র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা অফিস করেনি, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস করেননি। মূলত গ্রেপ্তার এড়াতে তারা অফিসে আসেননি। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) বিএসইসির কার্যালয় সরেজমিন ঘুরে এবং শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযুক্ত বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে তিনটি টিম করছে বলে রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম আজম।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে কমেছে লেনদেন, সিএসইতে বেড়েছে
ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষে এস আলম কোল্ড
তিনি বলেন, “আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তারা কেউ বাসায় নেই, অফিসও করেননি। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় টিম পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।”
তবে রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সাংবাদিকদের বলেন, “আজ এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা এসেছিলেন। তারা আমাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে ফিরে এসেছেন। আমরা সবাইকে বলেছি, কাজে যোগদান করতে। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। সবাই কাজে যোগদান করলে, কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলে চলবে।”
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, “এখনো সেই সময় হয়নি।”
যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা কি করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “পরবর্তীতে আলোচনা করে আরো বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে।”
বুধবার (৫ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
ঢাকা/এনটি/এসবি