এক মাসে ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার, মালিকদের কাছে হস্তান্তর
Published: 6th, February 2025 GMT
ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ৬৫টি এবং হাতিরঝিল থানা ৪১টি মোবাইল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মোবাইলের আনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময় মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মালিকদের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে গত এক মাসে মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনারে কার্যালয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান উদ্ধারকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চল জোনের এসি রব্বানী হোসেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ও হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজুসহ পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার রব্বানী হোসেন দুই থানায় দুটি মোবাইল উদ্ধার টিম গঠন করেন। তিনি মাসে ১০০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের পরিকল্পনা করেন। তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং মোবাইল উদ্ধার টিমের সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে গত মাসে ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, মোবাইল উদ্ধার কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের ছয়টি থানাতেই টিম গঠন করে হারানো মোবাইল প্রকৃত মালিকদের কাছে দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি জনসাধারণকে আরও সচেতনভাবে মোবাইল ব্যবহার ও সংরক্ষণের অনুরোধ জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাস জমি দখল করে ৫ তলা বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানিলন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা সপরিবারে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থি রাজনীতি করতেন। পরে যোগ দেন যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।
ঢাকা/মামুন/রফিক