ব্যবসায়ীরা হতাশ, দাম বাড়তে পারে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের
Published: 6th, February 2025 GMT
নতুন করে বর্ধিত শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার শুল্ক-কর কমানোর দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তারা।
এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উদ্যোক্তারা বলেন, এনবিআরের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় সবাই হতাশ। বর্ধিত শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের সুখবর পাওয়া যায়নি। তারপরও কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ভালো সংবাদ পাবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আজ এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নেতারা। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো.
তবে আজ দ্বিতীয় বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা শোনান হতাশার কথা। শুল্ক ও ভ্যাট না কমালে শিগগির প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তারা। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, এনবিআর সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ (মূসক নীতি) ও দ্বিতীয় সচিব (মূসক) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে বিনয়ের সঙ্গে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ওপর শুল্ক-কর বাড়ানো অযৌক্তিক। ব্যবসায়ীরা এখনও লোকসান দিয়ে আগের দামে পণ্য বিক্রি করছে।
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদাও কমে যাবে। ফলে উদ্যোক্তারা এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, শুল্ক-কর বাড়ানোর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে যাবে। সরকারেরও রাজস্ব কমবে। অনেকেই বাধ্য হবেন শ্রমিক ছাঁটাই করতে। কয়েকদিনের মধ্যে এর সমাধান না হলে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবো।
বাংলাদেশ বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট করবো। ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না। বর্ধিত কর সমন্বয় না হলে বাধ্য হয়ে প্যাকেট ছোট করতে হয়। তিনি বলেন, করনেট বাড়াতে বাপা সদস্যদের সচেতন করা হবে। যারা ভ্যাট দিচ্ছে না তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে কোনো কিছু একটা করে। অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তাদের করনেটে আনা হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আকিজ ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান শেখ শামিম উদ্দিন ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজের এমডি সাইফ নাসির প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ল ককর শ ল ক কর ব যবস য় আবদ র
এছাড়াও পড়ুন:
অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ বাড়ছে
অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের খরচ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনে প্রতি মাসে পাঁচটির বেশি লেনদেন করলে গ্রাহকের (এটিএম কার্ডধারী) ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হবে। তবে প্রথম পাঁচটি লেনদেনের ক্ষেত্রে এই চার্জ হবে আগের মতো ১৫ টাকা। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তাঁর ব্যাংক হিসাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান, তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। খুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এই চার্জ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম ৫টি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে উত্তোলনকৃত অর্থ) ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। পরবর্তী লেনদেনগুলোর ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক থেকে আদায় করতে পারবে। আর কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে প্রতি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ৩০ টাকা করে দিতে হবে।
দেশের অভ্যন্তরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক লেনদেনপ্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা অ্যাকোয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। এ চার্জ অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে সরকারি পরিষেবার বিভিন্ন ফি এবং চার্জও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০ টাকা এবং এর বেশি অ্যামাউন্ট পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ নিতে পারবে ব্যাংক। এ ছাড়া এমএফএস বা পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেনপ্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা নিম্নতর তা আদায় করা যাবে।